১০ নভেম্বর ২০২৫

জিয়াউর রহমান যুদ্ধ থেকে পালিয়েছিল: ইঞ্জি. মোশাররফ

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম। এই যুদ্ধের ইতিহাসও বিকৃত হয়েছে এই বিএনপির আমলে। আজকে যারা যুদ্ধ করেনায় তারা খেতাব পেয়েছে এবং যারা কোনদিন যুদ্ধের মাঠে ছিলনা তারাও খেতাব পেয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল জিয়াউর রহমান। আমরা একসাথে ছিলাম। যেখানে যুদ্ধ শুরু হয়েছে সে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। সে ফ্রন্টফাইটে ছিল না।’

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামের সামনের মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আয়োজিত ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতেই চট্টগ্রামের প্রয়াত নেতা এম এ আজিজ, এম এ হান্নান, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এবং আতা রহমান কায়সারকে তিনি স্মরণ করে বলেন, ‘সেই সত্তর সালে যারা আমরা নির্বাচিত হয়েছিলাম আজকে আমি ছাড়া আর কেউ জীবিত নাই। আজকে আমার পরম বন্ধু আখতারুজ্জামান বাবু, কায়সার এরা আমার সাথে নাই। আমি আজকে বড় একা, আমারও সময় হয়ে আসছে। আজকে আমি বলতেই চাই যারা এখন তরুণ আছেন, তারা এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশকে।’

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘আজকে বলতে চাই, এই চট্টগ্রামে আমাদের অনেক ইতিহাস আছে। এই চট্টগ্রাম প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের চট্টগ্রাম, সূর্য সেন’র চট্টগ্রাম, মহিউদ্দিন চৌধুরীর চট্টগ্রাম। এই চট্টগ্রামে আমরা আন্দোলনে কোনদিনও পিছিয়ে ছিলাম না। সেই শক্তি আমরা মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এবং আতাউর রহমান খান কায়সারসহ সবার নেতৃত্বে আমরা আন্দোলনে এগিয়ে গিয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলে ছিল তখন আমরা অসহযোগ আন্দোলন করেছিলাম। আমরা এই চট্টগ্রামকে অচল করে দিয়েছিলাম।’

‘আজকে আমার কাছে ভাল লাগছে একটা কথাই, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ একটি বিশাল সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সেজন্য আমি আয়োজকদের অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিএনপি জামায়াত বাংলাদেশকে একটা অচল করার পায়তারা করছে। প্রধানমন্ত্রী একটা কথা বলেছে, যে হাতে তারা আক্রমণ করতে আসবে সে হাত ভেঙে দিতে হবে। আগামী দিনে হয়তো এরকম পরিস্থিতি হতে পারে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা কে করবে? আমাদের যারা নেতাকর্মী আছে তারাই করবে।’

‘আমরা মার অনেক খেয়েছি, আর মার খেতে রাজি নই। আমিও অনেক মার খেয়েছি। মন্নান ভাই, সালেহ ভাই আজকে নাই। আমিসহ ৩ জন নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম একটা মিছিলে। মিছিলে একজন মন্ত্রী ব্যরিস্টার সুলতান দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশ পাহাড়ায় সন্ত্রাসী দিয়ে তারা হামলা করে। মন্নান ভাই আহত হয়, সালেহ ভাই আহত হয়, আমার পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। আমি একা পড়ে ছিলাম। আমাকে লেপ-তোষকের দোকান ছিল, একটা সেলুনের দোকান ছিল। তারা আমাকে মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে প্রায় ৪ ঘন্টা অপারেশন করে পায়ের ট্রিটমেন্ট করা হয়। প্রায় ৬ মাস পঙ্গুত্বের জীবন কাটিয়েছিলাম।’ যোগ করেন  সাবেক এ মন্ত্রী।

যে হাত দিয়ে বিএনপি আক্রমণ করবে সে হাত ভেঙে দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে বিএনপিকে চিনেনা জামায়াতকে চিনেনা, সে কবরস্থানও চিনেনা। তাই বলতে চাই আপনারা কঠোরভাবে শপথ নেন যে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যে কথা বলেছে, যে হাত দিয়ে তারা (বিএনপি) আক্রমণ করবে সে হাত আজকে ভেঙে দিতে হবে, না দিলে কাজ হবেনা।’

বাংলাধারা/আরএইচআর

আরও পড়ুন