কক্সবাজার প্রতিনিধি »
মানুষ ও পরিবেশ-প্রতিবেশের বিপক্ষে যায় এমন সকল বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে এক ব্যতিক্রমী মানববন্ধন পালিত হয়েছে। বাংলাদেশে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক প্রকল্প নিচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে মানববন্ধনে।
জলবায়ু ও পরিবেশ ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘উই ক্যান কক্সবাজার, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং এনজিও ফোরাম অন এডিবি’র সমন্বিত উদ্যোগে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বাঁকখালী নদীতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে তরুণদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন উই ক্যান কক্সবাজারের সাংগঠনিক সম্পাদক দূর্জয় দাশ, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোরশেদ চৌধুরী সাকিব ও পারভিন আকতার।
মানববন্ধনে তরুণরা দাবি করেন, বাংলাদেশে এডিবি ৩ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা ১২টি জীবাশ্ম গ্যাস এবং ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বিনিয়োগ করেছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি প্রতি বছর বায়ুমন্ডলে কমপক্ষে ২১ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গত করে। এর মানে, তারা তাদের জীবদ্দশায় প্রায় ৫৪০ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গত করতে পারে। এটি এডিবির বাংলাদেশের কাছে ঐতিহাসিক দায় বা পরিবেশগত ঋণ। একইভাবে, অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিও অনুরূপভাবে এই পরিবেশগত ঋণ বিদ্যমান। তাই আমাদের দাবী জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তারা যেন সরে আসে।

এডিবি ২০১৬ সালের প্যারিস চুক্তির পরেও বাংলাদেশে ১২৬ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। পরিবহণ খাতের ( ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ ) বিনিয়োগের পর বিদ্যুৎ দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত (১৬ দশমিক ১ শতাংশ) এবং এর পর ফাইন্যান্স সেক্টর (১৫ দশমিক ২ শতাংশ)। এডিবি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করেছে ২০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার এর মধ্যে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে করেছে মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, এডিবি তার এই বিশাল বিনিয়োগে সাধারণ জনগনের স্বার্থকে উপেক্ষা করে কর্পোরেট স্বার্থকে বেশী প্রাধান্য দিয়েছে। এতে লাভ হচ্ছে কর্পোরেটদের কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশ ও পৃথিবীর।
পৃথিবীকে বাঁচাতে এডিবিকে সহনশীল আচরণ করার আহবান জানান মানববন্ধনে অংশ নেওয়া তরুণরা, এমনটি জানিয়েছেন উই ক্যান কক্সবাজার’র প্রধান নির্বাহী ওমর ফারুক । মানববন্ধনে কক্সবাজারের নানা স্তরের পরিবেশকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।













