৩ নভেম্বর ২০২৫

জুমের চালকুমড়া, পরিচিতি নেই বান্দরবানের বাহিরে!

জসাইউ মার্মা  »

চালকুমড়া পরিচিতি থাকলেও জুমের চাল কুমড়ার তেমন পরিচিতি নেই বললেও চলে। তবে পাহাড়ে স্থানীয়দের জুমের চালকুমড়া পরিচিতি বেশ পুরনো এবং যুগ যুগ ধরে চাষাবাদ করে আসছে জুমিয়ানরা। এটি আবার দুই ধরনের, তবে দেখতে একই রকম। একটি সুগন্ধীযুক্ত অন্যটি সুগন্ধি ছাড়া, পার্থক্য শুধু এটাই।

এই চালকুমড়াটি প্রায় গোলাকার এবং সাদা রংঙ্গের হয়ে থাকে। পাহাড়ের পাদদেশে জুম ক্ষেতে সাদা রঙ্গের চালকুমড়া দেখতে বেশ সুন্দর। জুম কাটার পরপরেই বাজারে পাওয়া যায়। বান্দরবানে সপ্তাহিক স্থানীয় হাট বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের বিক্রি করতে দেখা যায়।

প্রতি বছর জুমে চাষ করলেও তেমন আশানুরুপ ফলন পাওয়া যায় নি। তবে আবাহওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত বছরের চেয়ে এবার ভালো ফলন হয়েছে বলে চুসুক পাড়ার চাষি মংক্য হ্লা মার্মা জানিয়েছেন।

সে আরো জানিয়েছে, এবারে জুমে চালকুমড়া বেশ ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয় ব্যাপারিরা এখান থেকে ছোট বড় মিলে পিস ৩০ টাকা করে বিক্রি করে দিচ্ছি। যা বিক্রি করার করে ফেলেছি। এখন প্রায় শেষের দিকে।

খুচরা পাইকারি ঞোমং মার্মা জানান, সুগন্ধীযুক্ত চালকুমড়া বেশি বিক্রি হয়। ওয়াহ উৎসবে বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে। আকার ভেদে ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ট বিক্রি করছি। এখন প্রায় শেষের দিকে তাই দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে।

বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, বান্দরবানে এই বছর ১০৩ হেক্টরে চালকুমড়া চাষাবাদ হয়েছে। আবহওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরুপ ভালো ফলন হয়েছে। জুমে ফলানো চালকুমড়া স্থানীয়দের কদর বেশি। তবে বান্দরবান শহরে বাইরে এটির পরিচিতি নেয় বললেও চলে। আমরা চাষীদেরকে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের পরামর্শ প্রদান দিয়ে থাকি।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ