জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামে আহত হওয়া মোহাম্মদ হাসান থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এবং ‘এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস’ নামের একটি ফেসবুক পেজের তথ্য অনুযায়ী, হাসানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছোট বোন সুমাইয়া।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় আন্দোলনের সময় মোহাম্মদ হাসান মাথার ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হন, যা তার মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদ্যনালী ও কণ্ঠনালী এক করে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়।
গত ১০ এপ্রিল হাসানকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে সাধারণ বেডে নেওয়া হলেও ২৫ এপ্রিল আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে পুনরায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১৭ মিনিটে উমামা ফাতেমার একটি পোস্টে তিনি লিখেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হাসান ভাই একটু আগে মারা গেছেন… কিছুদিন আগে কলি আপু বলছিলেন হাসানের অবস্থা বেশি ভালো না। আমি ভাবছিলাম দেশে আসলে দেখতে যাব। কী বলব!”
হাসানের মৃত্যুতে আন্দোলন সংশ্লিষ্ট অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁকে ‘শহীদ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এআরই/বাংলাধারা