সুরাইয়া রহমান তন্নী »
আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল হলেও কোথাও বৃষ্টির ছিটেফোঁটা নেই। উল্টো প্রচণ্ড রোদে অতিষ্ট নগরবাসী। তার উপর কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানিতে সৃষ্টি হয়েছে নগরীতে জলাবদ্ধতা, আর এতে বিপাকে পড়েছেন নগরীর নিচু এলাকার মানুষ।
শুক্রবার(১৫ জুলাই) নগরীর খাতুনগঞ্জ, রাজাখালী, ডিসি সড়ক, ফুলতলা, বাকলিয়া, আগ্রাবাদের আবাসিক এলাকাসহ আরো কিছু নিচু এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এদিন দুপুর ১২টা থেকে পানি উঠতে শুরু করে। বেলা দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে হাঁটুসমান পানির নিচে ডুবে যায় রাস্তাঘাট। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
এদিকে নালা-নর্দমা ও খাল পরিষ্কার না থাকার কারণে এই জলাবদ্ধতা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ফুলতলার এলাকাবাসী। এমনকি নালায় দেদারসে কোরবানি পশুর বর্জ্য ফেলার অভিযোগও তুলেন তারা।
দেখা গেছে, ভোগান্তি কম ছিল না দোকানি ও ব্যবসায়ীদেরও। অনেক দোকানে পানি ঢুকে ভোগ্যপণ্যের গুদাম, আড়ৎ ও মালামাল পানিতে ভিজে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার হলো খাতুনগঞ্জ। এটি জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে সরকারের শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
নগরীর খালপারের বাসিন্দা মোহাম্মদ মিজান বলেন, জোয়ারের পানি খালে ফেলা কোরবানির বর্জ্যের সাথে মিশে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে নিশ্বাস নেওয়া দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করতে চউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১০ হাজার কোটি টাকার তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্পের আওতায় নগরের ৪০টি খালের মুখে স্লুইচগেট নির্মাণ কাজ চলছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দুইটি ও সিডিএ একটি প্রকল্পের কাজ করছে। চউকের দুটি প্রকল্পের আওতায় ১৭টি খালের মুখে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৩ খালের মুখে স্লুইচগেট নির্মাণ করা হবে।













