ঝালকাঠিতে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে এখনো পর্যন্ত ১৭ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে আটজন নারী, ছয়জন পুরুষ ও তিনজন শিশু ছিল। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫-৩০ জন। উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটসহ পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়রা।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে যায়।
এদিকে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল। যেন লাশের মিছিলে পরিণত হয়েছে সদর হাসপাতাল চত্বর।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তবে মাঝপথে যাত্রী তোলার কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগে। এ জন্য বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালনা করা হচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানান, বাসে আনুমানিক যাত্রী ছিল ৫০-৬০ জন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার জানান, যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে গেলে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মুমূর্ষু কয়েকজনকে দেখা গেছে। গাড়ির ভেতরে কতজন আটকে আছে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। গাড়িটি উদ্ধার সম্ভব হলে তখন বিস্তারিত বলা যাবে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।
এদিকে উদ্ধার কাজ চলায় দুর্ঘটনার পর থেকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।













