৪ নভেম্বর ২০২৫

ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলকে প্রাণবন্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি: তরফদার রুহুল আমিন

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

জন্মের পর বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে এমন কোনো জায়গা ছিলো না যেখানে ফুটবলের রাজত্ব ছিলো না। ফুটবল খেলা বাঙালির রক্তের সাথে মিশে আছে। ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলকে প্রাণবন্ত করতে আমি ইতিমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় ব্যক্তিগতভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব-সাইফ পাওয়ারটেক বার্ষিক ক্রীড়ার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ১২ বছর আগেও বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪০-১৪২তম, বর্তমানে সেই অবস্থান গিয়ে পৌঁছেছে ১৮৭তম স্থানে। যেখানে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, সেখানে ফুটবলের এমন দৈন্য কোনোভাবে মানা যায় না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

ফুটবল খেলার মান উন্নয়নে অনেক জেলায় কার্যক্রমও শুরু করেছি। আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবো। একদিন বাংলাদেশের ফুটবল বিশ্বে সম্মানজনক একটি স্থান করে নেবে।

ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রিকেট দাঁড়িয়ে গেছে। কিন্তু ফুটবলের এখনো কোনো ভিত্তি দাঁড়ায়নি।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবে কিংবা ফুটবলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির দূরদর্শিতার অভাবে এমন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন এ ক্রীড়া সংগঠক।

তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৬৫ ভাগ যুবসমাজ। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে খেলাধুলাসহ গঠনমূলক কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল ও প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, বন্দর অপারেট ছাড়াও আমাদের বেশ কিছু ব্যবসা রয়েছে চট্টগ্রামে। আর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে চট্টগ্রাম। আমার বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য যেহেতু চট্টগ্রামকেন্দ্রিক, তাই চট্টগ্রামের সঙ্গে আমার একটি আত্মার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেই আত্মিক টানে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। 

এর আগে প্রধান অতিথিকে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় সহসভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী এবং কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, স ম ইব্রাহীম, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন