মিরসরাই প্রতিনিধি »
শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন মসজিদ কমিটি। সেই ঘোষণায় আকৃষ্ট হয়ে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার জিতে নিয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১২ শিশু-কিশোর।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ধুম ইউনিয়নের শুক্রবারইয়ারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোররা হলো- শাহরিয়ার ভূঁইয়া, মেহরাজ উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল তাহমিদ, জামশেদ আলম, নুরুন্নবী সিফাত, ফয়সাল, জিহাদ, তামিম, শারাফাত, প্রান্ত, কাশফি উদ্দিন ও মাইনুল হাসান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকমাস আগে শুক্রবারইয়ারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ১৫ বছরের কম বয়সের শিশু-কিশোররা যদি একটানা ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করে, তাহলে তাদেরকে একটি করে বাইসাইকেল পুরস্কার দেয়া হবে। সে ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে এলাকার অনেক শিশু-কিশোরই নামাজ আদায় শুরু করে। টানা ৪০ দিন নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়েছে, এমন ১২ জনের হাতে বৃহস্পতিবার সেই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। স্থানীয় সমাজসেবক মোহাম্মদ জুনায়েদের পক্ষ থেকে বাইসাইকেলগুলো দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শুক্রবারইয়ার হাট কেন্দ্রীয় মসজিদ মাদরাসা ও ঈদগাঁ কমপ্লেক্স এর আজিজ মিছির ভূইয়া ভবনে নুরানি একাডেমির নতুন ক্লাস উদ্বোধন এবং শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নূর নবী ভূইয়া, সম্পাদক নুরুল কাদের হোসাইনি, উপদেষ্টা মেজবাউল হক মানিক, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হাজী শামসুদ্দিন ভূইয়া ও সদস্য সচিব আজমুল হোসেন ভূইয়া।
পুরস্কারপ্রাপ্ত মেহরাজ উদ্দিন বলেন, বাইসাইকেল পুরস্কার পেয়ে আমার অনেক আনন্দ লাগছে। ৪০ দিন টানা জামাতে নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেয়ার পর আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম নামাজ ছাড়া যাবে না। আলহামদুলিল্লাহ টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতেও সব সময় নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করবো ইনশাআল্লাহ।
মসজিদ কমিটির এমন কার্যক্রমে এলাকার শিশু-কিশোররা নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এরপর থেকে শিশুরা নিয়মিত নামাজে আসছে বলেও জানান তারা।
মসজিদ কমিটির সভাপতি নূর নবী ভূঁইয়া বলেন, ঘোষণার পর থেকে এলাকার অনেক শিশু কিশোর মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা শুরু করেছে। যদি কেউ কোনো ওয়াক্তে অনুপস্থিত থাকতো তখন তার গণনা বন্ধ করে দেয়া হতো। এভাবে নিয়মিত যাচাই-বাছাই ও হাজিরার ভিত্তিতে সর্বশেষ ১২ জন বিজয়ী হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন মহৎ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মাদরাসার পুরো কাজ সম্পন্ন হলে আগামী জানুয়ারিতে বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে।













