কক্সবাজারের টেকনাফের আশ্রয় ক্যাম্প থেকে ফের দুজন রোহিঙ্গা যুবককে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপ বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে গেছে। শুক্রবার (২৩ জুন) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শালবাগান ২৬ নম্বর ক্যাম্প মাঝি বদরুল ইসলাম।
অপহৃতরা হলেন—টেকনাফ শালবাগান ২৬ নম্বর ক্যাম্প ব্লক-এ/৫ এর মোহাম্মদ আলমের ছেলে রবি আলম (২৬) একই ক্যাম্পের সলিমুল্লাহ এর ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২৩)।
শালবাগান (২৬ নম্বর) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি বদরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের ২৬ নম্বর শালবাগান ক্যাম্পের এ/৫ ব্লকে মুখোশধারী ৮-১০ জনের অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রবি আলম (২৬) ও একই ব্লকের মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২৩)কে তাদের বাড়ির সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে পশ্চিম দিকে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনাটি ভিকটিমের পরিবারে পক্ষ থেকে শালবাগান এপিবিএন পুলিশকে জানানো হয়।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, অপহরণের ঘটনাটি জানার পর এপিবিএন পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং তাদের উদ্ধারে ততপরতা শুরু করে। কিন্তু দূর্গম পাহাড় এবং বৃষ্টি হতে থাকায় শনিবার বিকেল পর্যন্তও তাদের খোঁজ পায়নি পুলিশ।
উল্লেখ, গত বুধবার (২১জুন) টেকনাফের চাকমারকুল ক্যাম্প-২১ সি/১ ব্লকের রিজিম উল্লাহ (২৫), রিয়াজ উদ্দিন (২১) ও মজিবুল্লাহ (২৬)এই তিন রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে একদিন পর আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। এ ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার (২২ জুন) লেদা ২৪ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা বাজার থেকে ফাকাঁ গুলি বর্ষণ করে মোহাম্মদ ইসলাম কালো (৪৫) নামের এক বাঙালী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহরণের একদিন পর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ২৮ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করছেন অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের কাছ থেকে। টাকা না পেলে তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলে বিষয়টি জানিয়েছেন ভিকটিমের ভাই মো. হাসান।
অন্যদিকে, টেকনাফে বিগত ৭ মাসে ৮০ জনের অধিক লোক অপহরণের শিকার হয়েছে।প্রত্যেক ভিকটিম অপহরণকারীদের মোটা অংকের মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ফেরত আসে। মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় টমটম (ইজিবাইক) চালকসহ ৪জনকে অপহরণকারিরা খুন করেছে। এদের মাঝে একদিনেই কক্সবাজারের তিনজনকে খুন করা হয়।












