৩১ অক্টোবর ২০২৫

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরো এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরো এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়া মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ঘটনাস্থল হতে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।

নিহত হাবিবুল্লাহ (৪০) টেকনাফের হ্নীলার মুচনী ২৬ নম্বর ক্যাম্পের মৃত-আলী আহমদের ছেলে। তিনিও যুবলীগ সভাপতি ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যাসহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামী ডাকাতদল হ্নীলার নয়াপাড়া মুচনী পাহাড়ে অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে অস্ত্রধারী দৃষ্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। জীবন ও সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে আমরা গুলি করা বন্ধ করি এবং ঘটনাস্থল হইতে অস্ত্রধারী দৃষ্কৃতিকারীরা পাহাড়ের গভীরের দিকে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে একজনের গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। উপস্থিত জনতার মাঝে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি ও সাধারণ রোহিঙ্গারা গুলিবিদ্ধ দেহটি হাবিবুল্লাহ ডাকাত বলে সনাক্ত করেন।

গুলিবিদ্ধকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে ভোরে পৌছালে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরো জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট রাতে একদল রোহিঙ্গা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে তুলে পাহাড়ের কাছে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন ২৩ আগস্ট মুহাম্মদ শাহ ও আব্দুস শুক্কুর নামে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী একই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর নিহত হন আরো এক অভিযুক্ত। গত ১ সেপ্টেম্বর ভোরে ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ১৩ সেপ্টেম্বর বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন নেছার ও করিম ডাকাত। সর্বশেষ রোববার মারাগেলেন হাবিবুল্লাহ।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এএ

আরও পড়ুন