২৪ অক্টোবর ২০২৫

টেকনাফ-উখিয়ার ক্যাম্পে পাহাড় ধ্বসে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার :::

ভারী বর্ষণের জেরে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধ্বসে নারীসহ দু’রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৫ জুন) বেলা ২টার দিকে টেকনাফের চাকমারকুল ক্যাম্পের (ক্যাম্প নং-২১) ব্লক-এ/২ এবং সকালে উখিয়ার বালুখালী ময়নারঘোনা ক্যাম্পে পৃথক সময়ে এ পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পে কর্মরত ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক ও ৮ এপিবিএন পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।


নিহতরা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফের চাকমারকুল (ক্যাম্প নং-২১) ক্যাম্পের ব্লক-এ/২ এর ১৮ নম্বর ঘরের বাসিন্দা শাকের আহমেদের স্ত্রী নুর হাসিনা (২০) ও উখিয়ার বালুখালী ময়নারঘোনা (ক্যাম্প-১২) ক্যাম্পের (জে-এ-৭ ব্লকের) মৃত অছিউর রহমানের ছেলে রহিম উল্লাহ (৩৫)।


পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার ভোররাত হতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। বেলা দেড়টার দিকে টেকনাফের চাকমারকুল (ক্যাম্প নং-২১) ব্লক-এ/২ শাকের আহমেদের বসত ঘর সংলগ্ন পাহাড় প্রচন্ড বৃষ্টিতে হঠাৎ ধ্বসে পড়ে। এতে নারী শরণার্থী নুর হাসিনা মাটিতে চাপা পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যাম্প অভ্যন্তরে টহলরত এপিবিএন অফিসার ও ফোর্স এবং আশে পাশের লোকজন তাৎক্ষনিক উদ্ধার কাজ শুরু করে। তাকে উদ্ধারের পর দ্রুত ক্যাম্পের ‘সেইভ দ্য চিলড্রেন’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এপিবিএন পুলিশ সূত্রে  জানা গেছে,  পাহাড়ের মাটি খনন করতে গিয়ে  রফিক উল্লাহ মাটিতে চাপা পড়ে। খবর পেয়ে  দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা  দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে  মাটি চাপা পড়া অবস্থায়  রোহিঙ্গা রফিকুল্লাহর মৃতদেহ উদ্ধার করে।  
১৪ এপিবিএন ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক  মোহাম্মদ নাঈমুল হক জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে নিহত রোহিঙ্গাদের মরদেহ তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। 


চাকমারকুল (২১ নং) ক্যাম্পে পাহাড় ধ্বসে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ সাধনা ত্রিপুরা। 
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামসু দ্দৌজা জানান, ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বসে দু’জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। ক্যাম্প গুলোতে পাহাড় ধ্বসের মতো দূর্যোগ মোবাবেলায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তারপরও কিভাবে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন