৬ নভেম্বর ২০২৫

টোকেন দিয়ে নগরে চলছে গ্রাম সিএনজি, মাসে অর্ধকোটি টাকার চাঁদাবাজি! (ভিডিও)

জিয়াউল হক ইমন »

গ্রামের গাড়ি নগরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও টাকার বিনিময়ে টোকেন নিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে। বোয়ালখালী ও রাউজান অংশের গ্রাম সিরিয়ালের সিএনজি অটোরিকশায় ভরপুর থাকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকা।

অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পু চালক সমন্বয় পরিষদের নেতারা পুলিশকে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অপকর্ম চালিয়ে আসছে। যার ফলে কাপ্তাই রাস্তার মাথায় প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে মানুষের কর্মঘণ্টা।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, অবাধে চলছে শত শত গ্রাম সিএনজি। চালকদের দাবি, সমিতির টোকেন নিয়ে নগরে চলছে তাদের গাড়ি।

টোকেনের উপরের দিকে ‘চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পু চালক সমন্বয় পরিষদ’ এবং নিচে লিখা আছে ‘কাপ্তাই রাস্তার মাথা পরিচালনা কমিটি’ । প্রায় ৪ হাজার গ্রাম সিএনজিকে প্রতিমাসে দিতে হয় ৭০০ টাকা করে। শুধুই টোকেন থেকে আসে ২৮ লাখ টাকা। এছাড়া প্রতিদিন সকাল-বিকেল লাইনম্যানকে দুই ধাপে ২০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। এতে প্রতিদিন আসে ৬০ হাজার টাকা এবং মাসে গড়ায় ১৮ লাখ টাকায়।

এদিকে চাঁদার টাকা নেওয়ার পরও ট্রাফিক পুলিশের হয়রানীর অভিযোগ তুলেছেন সিএনজি অটোরিকশার চালকরা।

পরিচয় গোপন করার শর্তে এক ভুক্তভোগী বাংলাধারার এই প্রতিবেদককে চাঁদার টাকা বন্টনের বিষয়টি স্বীকার করেন।

যদিও থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাসোহারা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম অটোট্যাক্সি-অটোটেম্পো সমিতির সভাপতি মো. আজাদ।

কাপ্তাই রাস্তার মাথায় টোকেন বাণিজ্যের বিষয়টি সত্য বলে জানান মোহরা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মোশাররফ হোছাইন।

কাপ্তাই রাস্তার মাথায় অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড ও সড়ক দখল করে চাঁদাবাজি বন্ধে সাম্প্রতিক সময়ে মানব বন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।

চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার জয়নুল আবেদীন।

সমিতির নামে চাঁদা আদায়কারী এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ, এ প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ