২৭ অক্টোবর ২০২৫

ট্রানজিট চুক্তি : পরীক্ষামূলক চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারতের জাহাজ

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রানজিট চুক্তির আওতায় পরীক্ষামূলক চালান নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর হতে গত শনিবার যাত্রা করা ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’ জাহাজটির একটি কনটেইনারে ট্রানজিট পণ্য হিসেবে রয়েছে ইস্পাত। বন্দরের এনসিটি জেটিতে ভিড়ানোর পর কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কনটেইনারটি সড়ক পথে শ্যাওলা (সিলেট) হয়ে ভারতের সুতারকান্দি স্থলবন্দর দিয়ে আসাম নেয়া হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটির দায়িত্বে থাকা টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের চিফ অপারেটিং অফিসার ক্যাপ্টেন তানভীর হোসেন বলেন, ১২০টি কনটেইনার আনলোড করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে ট্রানজিট পণ্যভর্তি কনটেইনারটি বন্দর কর্তৃপক্ষের বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতীয় টাটা স্টিলের এসব পণ্য খালাস হয়ে বাংলাদেশী যানবাহনে কনটেইনারে (নম্বর: ভিএসটিইউ২০৩১০৯০) ২৫ টন টিএমটি বার বা রড শ্যাওলা স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতের আসাম রাজ্যে পাঠানো হবে। আবার ফিরতি পথে কনটেইনারটিতে ভারতের ডাউকি এলসি স্টেশন হতে পণ্য বোঝাই করে তামাবিল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে কলকাতা পৌঁছবে।

এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও চুক্তি) মো. তারেক মাহমুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর সেকশন ১২৯ এ এবং কাস্টমস ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট বিধিমালা, ২০২১ এর বিধি-৫ অনুসারে পরীক্ষামূলক ট্রানজিট পণ্যচালানের জন্য ফি ও চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভারতের ট্রানজিট পণ্য পরিবাহিত হওয়ার বিপরীতে বাংলাদেশ প্রতি টনে সব মিলিয়ে মাশুল পাবে ৫৫৪ টাকা করে। এর মধ্যে প্রতি কনটেইনার স্ক্যানিং ফি ২৫৪ টাকা, সিকিউরিটি চার্জ প্রতি টন ১০০ টাকা, প্রতি চালানে ডকুমেন্টশন প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা, প্রতি মেট্রিক টন ট্রান্সশিপমেন্ট ফি ২০ টাকা, এসকর্ট চার্জ প্রতি মেট্রিক টন ৫০ টাকা এবং বিবিধ প্রশাসনিক চার্জ প্রতি মেট্রিক টনে ১০০ টাকা। এর বাইরে ইলেকট্রিক লক অ্যান্ড সিল ফি বিধিমালা দিয়ে নির্ধারিত পরিমাণে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, ট্রানজিট সুবিধায় পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দি ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া’ শীর্ষক চুক্তি হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর। এ চুক্তির আর্টিক্যাল ২ অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর উভয় দেশের মধ্যে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষর হয়। চুক্তিটির আওতায় ২০২০ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়া-আগরতলা রুটে একটি পণ্য চালানের প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রানজিট সম্পন্ন হয়েছিল। ওই সময় ভারতীয় পণ্যবোঝাই চারটি কনটেইনার নিয়ে বাংলাদেশী জাহাজ ‘এমভি সেঁজুতি’ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ