২৪ অক্টোবর ২০২৫

ডিজিটাল লাইটিংয়ের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ করছে চসিক

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর যানবাহন চলাচলে শৃংঙ্খলা আনতে ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে মানদাতার আমলের হাতের ইশারায় ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বেরিয়ে এসে যুগের সাথে তালমিলিয়ে ডিজিটাল ও আধুনিক প্রযুক্তিতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।’

সোমবার (৪জুলাই) বাটালি হিলে নগর ভবনের সিটি মেয়র দপ্তরে ট্রাফিক সিগন্যাল লাইটিং ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজির দেউরি এলাকায় পাইলট প্রকল্পের প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন মেয়র রেজাউল করিম চেীধুরী ।

এসময় তিনি বলেন, মানদাতার আমলের হাতের ইশারায় ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বেরিয়ে এসে যুগের সাথে তালমিলিয়ে ডিজিটাল ও আধুনিক প্রযুক্তিতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে চসিক। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রায়োগিক ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক ট্রাফিক সিষ্টেম বাস্তবায়নে এই পাইলট প্রকল্পটি সময়োপযুগি পদক্ষেপ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে সি.এম.পি ও মাস আর এন্ডডি’র সহযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে নগরীর কাজির দেউরি এলাকায় পাইলট প্রকল্পের জংশন ও তৎসংলগ্ন ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সিগন্যাল উন্নয়ন, লেইন মার্কিং, জেব্রা ক্রসিং, স্পট ড্রপিং জোন, বাস, কার, সিএনজি ও রিক্সা ইত্যাদি ষ্টপেজ নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে অটো ও মেনুয়েলে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন সিগনাল লইট স্থাপন করা হবে যা এপ্স ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে খুব সহজে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হবার পর উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্বলিত স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল ক্যামেরা স্থাপনার মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থার কাজ করা হবে। এই ক্যামেরার মাধ্যমে একসাথে প্রায় ১৩ ধরণের ট্রফিক আইন অমান্যকরণ ধরা যাবে। আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আওতায় নগরী ফুটপাত গুলো ম্যাপিংয়ের মধ্যে আনা হবে।

মেয়র নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অপরিহার্যতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এই জন্য সকলের সহযোগিতা ও প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমন্বিতভাবে সুন্দর নগরী নির্মাণে এগিয়ে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, চউকের সাবেক চীফ টাউন প্লানার স্থাপতি শাহীনুল ইসলাম খান, প্রকৌশলী তারেকুল আলম, মাস গ্রুপের পরিচালক প্রকৌশলী রেজাউল করিম খান, তিলোত্তমার শাহেলা আবেদীন, সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান, মাস গ্রুপের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ।

বাংলাধারা/এসআরটি

আরও পড়ুন