২৪ অক্টোবর ২০২৫

ডিবির বহিস্কৃত ৭ সদস্য জামিন বাতিল, রায় ২০ সেপ্টেম্বর

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »

কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিস্কৃত ৭ সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এ মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য্য করা হয়েছে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী ফরিদুল আলম জানান, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দেনদরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় পরিবার। টাকা পৌঁছে দেওয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি গফুরের স্বজনেরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকির কর্মকর্তাকে জানান। মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাইক্রোবাসে মেরিন ড্রাইভ সড়কে চৌকির সেনাসদস্যরা মাইক্রোবাস তল্লাশি করে তাতে ১৭ লাখ টাকা পান। এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।

পিপি জানান, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদি হয়ে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার প্রায় ১০ মাসের মাথায় ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিপি আরও জানান, মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ইতোমধ্যে জামিনে থাকা ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন বিচারক। এবং মামলার রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর সময় নির্ধারণ করেন।

মামলার বাদি ব্যবসায়ী আবদুল গফুর জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে। এ ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি।

পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর ডিবির সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি ডিবির ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশও করে। বিভাগীয় মামলার কার্যক্রমটি এখনও চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন