২৩ অক্টোবর ২০২৫

ডি-লিট পেলেন ‘চবির ইউনূস’ : চবির গৌরবের দিনে নোবেলজয়ীর স্মৃতিচারণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১৪ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ডি-লিট ডিগ্রি তুলে দেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ ফায়েজ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক, বিদ্যুৎ ও খনিজ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং চবির উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন প্রমুখ।

চবির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও গর্ব প্রকাশ ইউনূসের

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন,“চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গৌরব করতে পারে যে, আমি এখানকার শিক্ষক ছিলাম, পাশের গ্রামের ছাত্র ছিলাম এবং এখান থেকেই নোবেল পুরস্কারজয়ী কর্মসূচির সূচনা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সময়টা খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। তবে এখানে শিক্ষক হিসেবে এসে আমি নিজেই ছাত্র হয়ে গিয়েছিলাম। আমি বলতাম—ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। অর্থনীতির ভিত্তি হবে মানুষ। কখনও ভাবিনি নোবেল পুরস্কার পাবো। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।”

দীর্ঘ ৯ বছর পর জমকালো সমাবর্তন,গর্বিত শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পঞ্চম সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ২২,৬৮৬ জন শিক্ষার্থী। সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

চবি উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন,“আজকের দিনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। প্রফেসর ইউনূসের মতো একজন নোবেলজয়ী শিক্ষকের উপস্থিতিতে আমাদের সমাবর্তন পূর্ণতা পেয়েছে। তার জীবনের অর্জনগুলোর সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ হলো যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। এর আগে চারটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়—১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৮ এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন