৫ নভেম্বর ২০২৫

ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে জনগণের ভূমিকাও প্রয়োজন: মেয়র

ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা নিধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি জনগণের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) নগরীর ৩৫নং ওয়ার্ডে চাকতাই খাতুনগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন খাল, নালা, সড়ক পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, মশা কমাতে চসিকের উদ্যোগে ১০০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান আছে। তবে, মশার উপদ্রব কমাতে জনগণকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ করে ঘর ও ছাদে জমে থাকা পানিতে বিপুল মশা জন্ম নিচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণকে স্ব-উদ্যোগে নিজ নিজ বাসভবনে জমে থাকা পানি সরাতে হবে। তবেই, ক্রাশ প্রোগ্রামের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে।

মেয়র আরও বলেন, ‌‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েও অনেকেই ঔষুুধের দোকান থেকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সাধারণ জ্বরের ঔষুধ গ্রহণ করছেন। ফলে তারা একদম শেষসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এজন্য জনগণের প্রতি আহবান ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হোন। দ্রুত সুচিকিৎসা গ্রহণে ডেঙ্গু ভালো হয়।”

এসময় মেয়রের সাথে কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক ও চসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় আটটি ভবনের মালিককে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

নগরীর খুলশী থানাধীন উত্তর খুলশি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন । অভিযানে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করেন চসিক মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম।

অভিযানে ২৫ টি বাড়ি পরিদর্শন করে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নীচে এডিস মশার বংশ বিস্তারে জমাটবদ্ধ পানির উৎস পাওয়ায় এবং অপর ৭টি ভবনের ছাদে পরিত্যাক্ত টব ও পাত্রে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুপূর্বক সর্বমোট ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এসময় এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি মশা নিধনে ঔষধ স্প্রে করা হয়। অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা প্রদান করেন।

আরও পড়ুন