১. খাওয়ার কর্পূর বা কাপূর (ইংরেজি- Camphor) পরিমাণমতো (শিশুদের ত্বকে যেন জ্বালা সৃষ্টি না করে) ১০০ মিলি নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে পাত্রটি অল্প গরম পানির ঢাকনার উপরে রেখে গরম করে গলাতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা করে ঘণ্টা দেড়েক পরপর ছেলে-মেয়েরা পড়ার ও খেলার সময় এই তেল হাতে-পায়ে মাখলে মশা গায়ে বসবে না। বড়দের জন্য কাপূরের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে ভুলেও কাপূরের পরিবর্তে ত্বকে লাগাতে বিষাক্ত ন্যাফথেলিন ব্যবহার করবেন না।
২. ভালো পারফিউমারি দোকান থেকে বিশুদ্ধ অয়েল চিত্রনিলা অল্প পরিমাণে কিনে ড্রপার দিয়ে দুই/তিন ফোটা ১০০ মিলি নারিকেল তেলে মিশিয়ে গায়ে ঘণ্টা দেড়েক পরপর হাতে-পায়ে মাখলে মশা ও অন্যান্য কীটের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
৩. বাসার চারপাশের জমানো পানিতে, নির্মাণাধীন ভবনের জমানো পানিতে, ছাদবাগানে ফুলের টবের জমানো পানিতে হাতে ব্যবহার করার স্প্রেয়ার দিয়ে নিয়মিত কেরোসিন স্প্রে করে এবং ভালো ব্লিচিং পাউডার ছিটালে জমানো পানিতে মশার উৎপাদন বন্ধ হবে- নিজের, পরিবারের এবং সমগ্র এলাকার মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
৪. বাসাবাড়ির চারপাশের জমানো পানির পরিত্যক্ত পাত্র অপসারণ করা জরুরি। কারণ, স্ত্রী ডেঙ্গু মশা জমানো পানিতে ডিম পাড়ে এবং প্রজনন ক্ষমতা জোরদার করতে কাছাকাছি মানুষের রক্ত পান করে।
৫. মশা তাড়ানোর জন্য ঘরে মশার কয়েল ও ভেপোরাইজার ব্যবহার করা যায়।
৬. মশার উৎপাত বেশি হলে একটি মাটির পাত্রে কাঠের কয়লা জ্বালিয়ে ভালো সুগন্ধি ধূপ ও অল্প পরিমাণে খাওয়ার কাপূর (Camphor) দিয়ে ধোঁয়া দিলে মশা বিতাড়িত হবে।
৭. গ্রামে বা শহরের বাসাবাড়ির চারপাশের আগাছা, ঝোপঝাড় পরিষ্কার কর প্রয়োজন। কারণ পুরুষ মশার খাদ্য গাছের পাতার রস। এখানে পুরুষ ও স্ত্রী মশা মিলিত হয়ে মশার প্রজনন বাড়ে।
৮. বাসাবাড়ির চারপাশে নীমগাছ লাগান। বাসার বারান্দায় তুলসীগাছ, লেমন গ্রাস, পুদিনা, পিপারমিন্ট, গাঁদা ফুল প্রভৃতি টবে লাগান বা বাসার চারপাশে এগুলোর বাগান করুন। এসব গাছের সুগন্ধি মশা বিতাড়িত করে।