বাংলাধারা ডেস্ক »
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
এসময় তিনি ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলামকে বলেন, শুধু কীটনাশক দিয়ে মশা নিধন সম্ভব না। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশা নিধনে কলকাতা পৌরসভা গত নয় বছর ধরে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (০৫ আগস্ট) ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক ভিডিও কনফারেন্সে এসব পরামর্শ দেন অতীন ঘোষ।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা সিটি করপোরেশন উদ্যোগের উদাহরণ দিয়ে অতীন বলেন, এডিস মশার প্রজননস্থল আমরা খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দেই। এর জন্য তৃণমূল পর্যায়ে ওয়ার্ড লেভেল, বোরো লেভেল বা জোন এবং সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় লেভেল- এই তিন স্তর থেকে মনিটরিং করা হয়।
ডেঙ্গু বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের প্রতি জোর দিয়ে অতীন আরও বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি কী, সে বিষয়ে সঠিক ধারণা দরকার, আর তা নিতে হলে তথ্য দরকার। আমাদের ১৪৪টি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ১৪৪ জন কর্মী আছেন, যাদের কাজই হচ্ছে প্রতিদিনের তথ্য নেওয়া। তারা হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য নেন এবং তার বাসায় গিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল খোঁজেন। পেয়ে গেলে সেটি ধ্বংস করা হয়। এভাবে কোথায় কোথায় ডেঙ্গুর প্রজননস্থল আছে তার একটা চিত্র পাই আমরা। আর সেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হয়।
আতিকুল ইসলামসহ পুরো সিটি করপোরেশনের প্রতি পরামর্শ দিয়ে কলকাতার ডেপুটি মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার ধাপ দুটি। এক প্রিভেনটিভ (প্রতিরোধমূলক), দুই- কিউরেটিভ (প্রতিকারমূলক)। তবে সবচেয়ে বেশি কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।
অন্যদিকে কলকাতা সিটি করপোরেশন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সঙ্গে প্রধান ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক মুখ্য পরামর্শক তপন মুখার্জিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম













