৫ নভেম্বর ২০২৫

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ছাড়া হবে বন্ধ্যা এডিস পুরুষ মশা

বাংলাধারা ডেস্ক »

এসআইটি (ডেঙ্গু নিরসনে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক) পদ্ধতিতে পুরুষ এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। পরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকায় ওই মশা অবমুক্ত করা হবে।

বন্ধ্যা পুরুষ এডিস মশা স্ত্রী এডিস মশার সঙ্গে মিলিত হলে স্ত্রী এডিস মশার ডিম বা লার্ভা নিষিক্ত না হওয়ায় মশার পরিমাণ কমতে থাকবে। এভাবে বন্ধ্যা মশা দিয়ে ধীরে ধীরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

রোববার (৪ আগস্ট) সকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাভারে পরমাণু শক্তি কমিশন পরিদর্শনে গেলে তার কাছে এ পদ্ধতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কীট জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীরা।

এ সময় মন্ত্রী শিগগিরই এই পদ্ধতি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু নিরসনে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি) পদ্ধতির প্রায়োগিক বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন মাঠপর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। পাশাপাশি এটি একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শুধু বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে।

যেহেতু পুরুষ মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহনে অক্ষম, তাই এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার কোনও আশঙ্কা নেই। এছাড়া পুরুষ এডিস মশা মানুষকে কামড়ায় না।

কাজেই কমিশনের এসআইটি পদ্ধতিটি দেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।’

এসআইটি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাজলা সেহেলী জানান, ‘তারা ২০০৭ সাল থেকে এসআইটি পদ্ধতির কাজ শুরু করেন।

গবেষণা এখনও চলমান। বন্ধ্যাকরণ প্রক্রিয়াটি আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তারা সীমিত পরিসরে শুরু করতে পারবেন। এটি ব্যাপক পরিসরে শুরু করতে পাঁচ থেকে সাত বছর সময় লাগবে।’

বিজ্ঞানীরা জানান, শুধুমাত্র বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে। যেহেতু পুরুষ মশা মানুষকে কামড়ায় না ও ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে না, তাই এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বিজ্ঞানীরা বলেন, দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এসআইটি পদ্ধতি যা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত ও পরিবেশবান্ধব।

অনুষ্ঠানে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. স্বপন কুমার চক্রবর্তী, কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি/আরইউ

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ