১ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকার দুই সিটিতে ভোটযুদ্ধ শুরু

বাংলাধারা ডেস্ক »  

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু  হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

এবারই প্রথম ঢাকার দুই সিটিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট নেয়া  হচ্ছে। এত বেশি ভোটারের ভোট আর কখনও ইভিএমে নেয়া হয়নি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৮টি,আর  ভোটকক্ষ হচ্ছে ৭ হাজার ৮৫০টি। ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৯ হাজার। দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০ ভোটকেন্দ্রে  ৬ হাজার ৫৮৯টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫২ হাজার।

ঢাকার দুই সিটিতে এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৭০ জন। এরমধ্যে ২ হাজার ৪৬৮ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১৪ হাজার ৪৪৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৮ হাজার ৮৮০ জন পোলিং কর্মকর্তা। ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮ জন প্রিজাইডিং, ৭ হাজার ৮৫৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১৫ হাজার ৭১৪ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ করছেন। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে ১ হাজার ১৫০ জন প্রিজাইডিং, ৬ হাজার ৫৮৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১৩ হাজার ১৭৬ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোট নিচ্ছেন।

দুই সিটিতে মেয়র পদে লড়ছেন ৮টি রাজনৈতিক দলের ১৩ জন প্রার্থী।ঢাকা উত্তর সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১৮টি পদে ৭৭ জন ভোটের লড়াইয়ে আছেন। দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৭৫টি পদে ৩৩৫ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৫টি পদে ৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটিতে ৬৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং দক্ষিণে ৬৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব কেন্দ্র করা হয়েছে। একক হিসাবে এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি (১১টি) ভোটকক্ষ রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন মিরপুরের আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়। একই সিটির তেজগাঁওয়ের সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে রয়েছে ১০টি ভোটকক্ষ। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কদমতলীর এ কে হাইস্কুল কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।

এদিকে,নির্বাচন উপলক্ষ্যে নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। ভোটারদের নিরাপত্তা আর ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গগ্রহণ করেছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার মিলে প্রায় ৫০ হাজারের মতো সদস্য নির্বাচনের মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনী অপরাধ দমন ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঠে রয়েছেন ১২৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট।প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুইটি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে করতে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে মোতায়েন করা হয়েছে ৭৫ প্লাটুন বিজিবি। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ও তার আশপাশের এলাকা গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। সেইসঙ্গে গুরুত্ব বিবেচনা করে অনেক কেন্দ্রে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) বসানো হয়েছে।এছাড়াও প্রস্তুত আছে— র‌্যাবের হেলিকপ্টার, বিশেষায়িত সংস্থা সোয়াত, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ও ক্রাইসিস রেসপন্স টিম।

নির্বাচনে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। ফলে সবমিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ