জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার»
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১৪ জেলের একজন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় রবিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১টার দিকে তিনি মারাযান বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার তোফায়েল আহমদ।
মৃত্যুবরণ করা জেলে ফরিদুল আলম (৪৫), কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মশরফ আলী বলির পাড়ার মৃত আলী আহমদের ছেলে। তিনি ২ছেলে সন্তানের জনক।
গত ৩০ অক্টোবর (শনিবার) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের অলিপাড়া পয়েন্টে পৌছার পর পরই তাদের ট্রলারে ইঞ্জিন বিস্ফোরণ হয়ে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়। পরে আগুন লাগে তেলের ড্রামেও। এভাবে পুরো বোটে আগুন লেগে ২২ জেলের ১৪ জন দগ্ধ হন। তারা সাগরে ঝাপ প্রাণে রক্ষা পায়। সেখান থেকে তুলে প্রথমে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় তাদের। সেখান থেকে আটজনকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ছয় জেলেকে চমেক থেকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত আরএমও ডা. রেজাউল হাসান।
দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, আমার এলাকার আনসার হোসেনের মালিকানাধীন ট্রলারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় চিকিৎসাধীন ফরিদ নামে এক জেলে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি।
ইনি ছাড়াও সাইফুল (২২), নুরুল হোসাইন (৩৫), মিনহাজ (১৪), দিলসাদ (২০), এবং সাদ্দাম (২৫) এখনো ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রেজাউল হাসান জানিয়েছিলেন।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার খান বলেন, ট্রলারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ কয়েকজনকে চমেক হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় নেয়া হয়েছিল জানতাম। কিন্তু মারাযাবার খবরটি এখনো পাইনি।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













