সাদমান সময় »
মহাসড়কে নিয়ম ভেঙ্গে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে স্ক্র্যাপ, লোহা এবং ধারালো ধাতব পণ্যবাহী ড্রাম ট্রাক। খোলা এসব ট্রাক থেকে ধারালো বস্তু ছিটকে পড়লেই ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তাছাড়া রাস্তায় কোথাও ঝাঁকুনির সময় অথবা বাতাসে গাড়ির উপরে থাকা ধারালো পণ্য পড়ে তা অন্য গাড়ির চাকা ছিদ্র করছে প্রতিনিয়ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় এলাকায় বেসরকারি ইস্পাত কারখানা বিএসআরএমের জন্য দেশের বাইরে থেকে আমদানীকৃত কাঁচামাল চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়ে খোলা ট্রাক, ড্রাম ট্রাকসহ নানা বাহনে করে পণ্যগুলো আনা-নেয়া করা হয়। বিপদজনক এসব স্ক্র্যাপ লোহা বা ধারালো পণ্য গাড়িতে বহনের সময় তা ঢেকে আনা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্টরা তা মানছেন না। আর এভাবে আনা নেয়ার ফলে ধারালো পণ্যগুলো বাইরে পড়ার কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে মোটরসাইকেল আরোহী এবং সাধারণ পথচারী।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায়ই যানবাহনের চাকা ছিদ্র হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব দুর্ঘটনার কারণ খুজতে গিয়ে গাড়ির চালক, হেলপার ও মালিকরা দেখেন অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে গাড়ির চাকায় ধারালো কিছু ঢুকে যাওয়ায়। এতে তাদের মনে ক্ষোভ জন্মালেও এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে পাচ্ছে না।
এভাবে মালামাল বহন করার ব্যাপারে জোরারগঞ্জ চৌধুরীহাট হাইওয়ে থানার পরিদর্শক সিরাজ হোসেন বাংলাধারাকে জানান, এসব মালামাল অন্যত্র লোড হয়ে আমাদের এখানে এন্ডিং হয়। কয়েকটি থানা পার হয়ে এখানে আসে। আমরা কোনো ত্রুটি দেখিনি এবিষয়ে। কোনো ত্রুটি নিয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন বাংলাধারাকে বলেন, এভাবে ঝুঁকিপূর্নভাবে কোনো পণ্যই বহন করা উচিত নয়। ড্রাম ট্রাক বলেন খোলা ট্রাক বলেন এসবে কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে, না ঢেকে পণ্য নেয়া হয়, এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা থাকে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













