৯ নভেম্বর ২০২৫

তথ্য সচিবকে অবসরে পাঠানোর কারণ জানেন না তথ্যমন্ত্রী

বাংলাধারা ডেস্ক »

চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানোর অন্তর্নিহিত কারণ জানেন না তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌‘কাল দেখেছি। কী কারণ এটা আমি জানি না। অন্তর্হিত কারণ জানি না। এটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলতে পারে। ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবে। তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছিল।’

সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কুশলীলবদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, অভিনয়শিল্পী অরুণা বিশ্বাস, শম্পা রেজা, শামস সুমন, সুমন সামস, নাজনীন হাসান চুমকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা সরকারের মধ্যে অতীতেও ঘটেছে। সচিবের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সরিয়ে দেয়া বা তাকে অবসর দিয়ে অন্যত্র যুক্ত করার ঘটনাও ঘটেছে। এর যথাযথ ব্যাখ্যা একমাত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দিতে পারবে।

মন্ত্রণালয়ের নানা প্রকল্প নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির কোনো অভিযোগ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর তা মনিটর করি। যে কাউকে নিয়েই আমি কাজ করতে পারি। কারণ সব কাজ আমি নিজে তদারকি করি।

রোববার তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেনকে জনস্বার্থে চাকরি থেকে অবসরে পাঠায় সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হলো।

মকবুল হোসেন গত বছরের ৩১ মে সচিব হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। এর আগে তিনি যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নং ধারায় বলা হয়, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনো কারণ না দর্শিয়ে তাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হবে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ