রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি »
করোনা আতঙ্ক যত বাড়ছে, তাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টাও জোর কদমে বাড়ছে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভ্রান্তি। আর সেই বিভ্রান্তির সুযোগ নিচ্ছে রাঙ্গুনিয়ার এক শ্রেণীর বৈদ্য, হুজুর ও কবিরাজ সিন্ডিকেট। তাবিজেই সারবে ‘করোনা রোগ’ এসব আজগুবি কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট।
এদিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দুই হাজার টাকায় করোনা মুক্তির তাবিজ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের শত শত মানুষকে ধোঁকা দিয়ে উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলী, লালানগর, দক্ষিণ রাজানগর ও পারুয়া ইউনিয়নের ২০ থেকে ২৫ জন বৈদ্য, কবিরাজ ও হুজুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীরা জানান, রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের জিয়া মার্কেট, খন্ডল পাড়া, ফকির পাড়া, নাথপাড়া, লালানগরের আলম শাহপাড়া পারুয়ার হাজানিহাট, সরফভাটাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় করোনা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে কতিপয় বৈদ্য ও হুজুর সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে কিংবা করোনা সংক্রমিত হবে না এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে তাবিজ-কবজ দিচ্ছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ ও প্রবাসীর স্ত্রীদেরকে ফাঁদে ফেলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, এসব কবিরাজের কাছে গেলে প্রথমেই জ্বীন হাজিরের কথা বলে ১০০ টাকা নেওয়া হয়। এরপর করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি কিংবা ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস না হওয়ার জন্য তাবিজের বদলে এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকা আদায় করা হয়। কয়েকজন প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাল পড়া, পানি পড়া, তেল পড়া দিয়েও তারা করোনার চিকিৎসা করাচ্ছেন। চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার মান্নান বৈদ্য, ওয়াজু বৈদ্য, তপন বৈদ্য, পরিমল বৈদ্যসহ আরও অনেকে করোনার চিকিৎসার নামে মানুষ ঠকানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, এ ধরনের কিছু অভিযোগ আমরা শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি করোনার চিকিৎসার নামে প্রতারণামূলক চিকিৎসা দিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইদ্রিচ আজগর বলেন, করোনা চিকিৎসার নামে কেউ প্রতারণমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে কি না জানা নেই। তবে কয়েকজন হুজুর সুস্থ থাকার জন্য তাবিজ দিচ্ছে বলে শুনেছি। তবে এই তাবিজ যদি করোনা মহামরি থেকে মুক্তির নামে দেওয়া হয়, তাহলে প্রতিরোধে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













