বাংলাধারা ডেস্ক »
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তামাক কোম্পানিরগুলোর কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যাদি কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয় বরং ধূমপান করলে এমনিতেই শ্বাসনালী ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায়। দীর্ঘদিন ধূমপানের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হয়।
‘যেহেতু করোনাভাইরাসের আক্রমণে অন্যদের তুলনায় বয়স্ক এবং রোগাক্রান্তরা বেশি ঝুঁকিতে পড়েন, তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যদের তুলনায় ধূমপায়ীরা করোনাভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে আছেন। স্যান ফ্র্যানসিসকোর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, অধূমপায়ীদের তুলনায় করোনা ভাইরাসের ধূমপায়ীদের আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। সম্প্রতি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস করোনার ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে ধূমপান পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে শিল্প মন্ত্রণালয়কে এমন নোটিশ প্রত্যাহার করে দেশের সকল তামাক কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, জরুরি পরিসেবা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন ব্যতীত সকল প্রতিষ্ঠান সরকারের সাধারণ ছুটির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যে তামাক সেবনের ফলে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি ১৪ গুণ বেড়ে যায়, সেই তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থাকছে ছুটির আওতার বাইরে। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় না নিয়ে তামাকের দুই বহুজাতিক কোম্পানি ‘ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যেকো’ ও ‘জাপান টোব্যেকো ইন্টারন্যাশনাল’কে সিগারেট উৎপাদন ও বিপণনসহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। গত ৩ এপ্রিল শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক নোটিশে এ অনুমতি প্রদান করা হয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ