২৫ অক্টোবর ২০২৫

তারাও মানুষ ; ঝুঁকি ও আতঙ্কে ফিরছে যারা 

আমিনুল হক বাবু »

গার্মেন্টসের রেমিট্যান্স সৈনিকরা যেন মানুষ নয়! টেলিফোন করে তাদের ডেকে আনা হয়েছে, চাকরি বাঁচানোর জন্য তারা অমানুষিক কষ্ট করে যে যেভাবে পারে চাকরিস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ডিজিটাল যুগে তারা কর্মস্থলে আসছে পায়ে হেঁটে। কি অমানবিক!

চাকরিতে যোগদানের নির্দেশদাতারা এটা ভাবেনি, যে গণপরিবহন বন্ধের এ সময়ে তারা কি ভাবে আসবেন!

একদিকে চলছে অঘোষিত লকডাউন, মানুষ কে বলা হচ্ছে ‘বাসায় থাকুন নিরাপদ থাকুন’, অন্যদিকে লাখ লাখ শ্রমিক যখন কাজ শুরু করবেন, তাদের সাথে সহযোগী আরো অনেক কিছু সচল হয়ে যাবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত টা কি সাংঘর্ষিক নয়?

ধরে নিলাম সরকার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং বিদেশে এই মুহূর্তে পিপিই, মাস্ক সহ জরুরী পণ্য রপ্তানির সুযোগটা নিতে চায়। সে রকম হলে আমরা মনে করি প্রয়োজনীয় এবং সক্ষম কিছু গার্মেন্টস খোলা রাখা যেতে পারে, তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকদের যাতায়াত সহ সার্বিক সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। তবে সব চাইতে ভালো হতো যদি ১৪ তারিখের পরে এগুলো সচল করা হতো। কারণ বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ১০ দিন আমাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নিরাপদ থাকতে হলে আপাতত জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখাই হবে আমাদের জন্য নিরাপদ।

একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে লাখ লাখ এসব গার্মেন্টস যোদ্ধাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজনেরও যদি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঘটে তবে ব্যাপারটা কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে নিশ্চয় আশাপ্রদ কোন সিদ্ধান্ত নেবেন। মনে রাখতে হবে, মানুষ বাঁচলে বাঁচবে দেশ।

লেখক : সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।

আরও পড়ুন