২৮ অক্টোবর ২০২৫

তারাবি নামাজ মসজিদে পড়বে না বিশ্বের অনেক দেশে

বাংলাধারা ডেস্ক »

আগামী রমজান মাসে বিশ্বের অনেক দেশেই মসজিদে তারাবি’র নামাজ পাড়ানো হবে না। করোনার সংক্রমণ এড়াতে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মসজিদের পরিবর্তে নিজ নিজ বাড়িতে তারাবির নামাজ পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এসব দেশে।

খবর আরব নিউজ, আলজাজিরা ও গালফ নিউজ এর

উল্লেখ, আগামী ২৩ অথবা ২৪ এপ্রিল বিভিন্ন দেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজানে মুসলমানরা এশার নামাজের পর বাড়তি নামাজ পড়ে থাকেন, যেটিকে তারাবির নামাজ বলা হয়। এ নামাজে পর্যায়ক্রমে পবিত্র কোরআন শরীফের সব সুরা পড়া হয়। মসজিদে জামায়াতে নামাজ পড়ার বিষয়টিকে বলা হয় খতমে তারাবী।

বিশ্বের দেশে দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিশ্বের দেশে দেশে খতমে তারাবিতে অংশ নেওয়ার জন্য মসজিদগুলোতে ভিড় করেন। কিন্তু এবার অনেক দেশেই মসজিদে খতমে তারাবি হবে না। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক দেশেই মসজিদে নামাজ পড়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে মসজিদ বন্ধ করা না হলেও শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য দিনে মসজিদে সর্বোচ্চ ৫ জনের নামাজ পড়ার  সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সামাজিক দূরত্ব (মূলত শারীরিক দূরত্ব) মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটির মতে, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে একজন মানুষ থেকে অপর জন মানুষের ন্যুনতম দূরত্ব হওয়া উচিত ৩ ফুট। এটি ৬ ফুট হলে সবচেয়ে ভাল।

গতকাল রোববার সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, এ বছর সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে তারাবির নামাজ পড়তে হবে। কাউকে মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। আর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব মসজিদ বন্ধই থাকবে।

উল্লেখ, করোনাভাইরাসের মহামারি এড়াতে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে সৌদি আরবে সব মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও দেশটিতে চলছে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ।

মিশর সরকার গত সপ্তাহেই মসজিদগুলো সামনের রমজান মাসেও না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে দেশটিতে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ার কোনো সুযোগ নেই।

করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে মিশরেও গত মাস থেকে মসজিদ ও চার্চসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি ঘোষণা করেছেন, এ বছর দেশটিতে রমজানের সব ইভেন্ট বন্ধ থাকতে পারে। এসব ইভেন্টের মধ্যে রয়েছে তারাবি নামাজ এবং ইতিখাপ। তবে এখন পর্যন্ত দেশটিতে সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়নি। চলতি সপ্তাহেই মধ্যে তা চুড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

বিশ্বের আরও কিছু দেশে মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনা এবং গণজমায়েত বন্ধ রেখেছে। সে কারণে এসব দেশেও এবার মসজিদে তারাবি পড়ার সুযোগ না-ও থাকতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশে্ গত সপ্তাহে সবাইকে ঘরে নামাজ পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মসজিদে সর্বোচ্চ ৫ জনের নামাজ পড়ার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তা-ও সেখানে ইমাম, মোয়াজ্জিন ও মসজিদের খাদেম ছাড়া অন্য কারো নামাজ পড়ার সুযোগ নেই। তাই বাংলাদেশ মসজিদে কতমে তারাবি হলেও তাতে সাধারণ মানুষের অংশ নেওয়া র সুযোগ থাকবে না, যদি বর্তমানে নির্দেশনা বহাল থাকে। দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় এই নির্দেশনা বহাল থাকার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন