২ নভেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের দরজায় সন্ত্রাসের ইস্যু তুলে মিরসরাইয়ের ৫ প্রার্থীর জরুরি দরখাস্ত

চাঁদাবাজী, মাছের ঘের দখল, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, অবৈধভাবে ভারতীয় গরু ও মাদক চোরাচালান, বনবিভাগের কাঠ চোরাচালানসহ দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার জন্যে অভিযুক্ত মো. নুরুল আমিনকে চট্টগ্রাম-১ আসন (মিরসরাই) থেকে বিএনপির এমপি পদে মনোনয়ন না দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর ৫ জন।

যুক্ত স্বাক্ষরের এক দরখাস্তে এই আবেদন জানানো হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমীপে। ঐ দরখাস্তে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘এরকম একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও খুনিকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হলে মিরসরাই সংসদীয় আসনে দলের ভরাডুবি হবে বলে মনে করছে মিরসরাইয়ের জনগন।

’ তার পরিবর্তে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে এই ৫ জন ঐক্যবদ্ধভাবে বিজয়ের জন্যে কাজের অঙ্গিকারও করেছেন। এরা হলেন এমডি মহিউদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মোঃ নুরল আমিন এবং জিয়াদ আমিন খান।

মনোনয়ন প্রত্যাশী ঐ ৫জনের দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান নামক প্রার্থী গত বছর ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজী, মাছের ঘের দখল, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু ও মাদক চোরাচালান, বনবিভাগের কাঠ চোরাচালান, মিরসরাইয়ের ১৬ নম্বর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রফিক মেম্বার, বারইয়ারহাট যুবদল নেতা জাভেদ, মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের নেতা মুন্নাকে হত্যা, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এমডি এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির নেতা ও চেম্বার প্রেসিডেন্ট কামাল উদ্দিন, সাবেক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, বর্তমান উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট অলিউল কবির ইকবাল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আবছার চেয়ারম্যান, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মাঈনউদ্দিন লিটন , সদস্য সচিব জসিমউদ্দীন-সহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে শারিরীকভাবে গুরুতর আহত ও পঙ্গু করা সহ নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়ে নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

কয়েক সপ্তাহ আগে সেই বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলেও সে মীরসরাইয়ের মানুষের কাছে সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারী হিসেবে চিহ্নিত। এহেন অবস্থায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা একমত হয়েছেন যে, এই চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও দলীয় নেতা-কর্মী হত্যাকারী ব্যতিরেকে অন্য যে কাউকে মনোনয়ন প্রদান করা হলে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তি সম্মিলিতভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয় দিতে কুন্ঠা করবেন না।

তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীগণের পছন্দের প্রার্থীকে এড়িয়ে কেন চিহ্নিত চাঁদাবাজ-ধান্দবাজ-সন্ত্রাসীকে এমপি পদে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে-সে প্রশ্ন সুদূর এ প্রবাসেও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে। তারা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছেন যে, বিএনপির হাই কমান্ডের কেউ কেউ ঐ প্রার্থীর কাছে থেকে নানা সুবিধা পাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করেছেন।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ