২৩ অক্টোবর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন 

তিন যোগ্যতায় মিলবে বিএনপির মনোনয়ন টিকিট

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সম্ভাব্য এ সময়কে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি নিচ্ছে জোর প্রস্তুতি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় এবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন আসনজুড়ে একাধিক জরিপ পরিচালনা করেছে দলটি, চলছে আরও কয়েকটি জরিপ।

প্রার্থিতা চূড়ান্তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার উপদেষ্টা দল লন্ডনে একাধিক বৈঠক করেছেন। সেখানেই নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নেমে পড়েছেন মাঠে। তবে এবার প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।

দলটির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রার্থী বাছাইয়ে মূলত তিনটি যোগ্যতা প্রাধান্য পাবে:- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ত্যাগ ও ভূমিকা, ব্যক্তিগত সততা ও ভালো চরিত্র,নির্বাচনি এলাকায় জনসমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতা।

সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি তরুণদেরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পার্লামেন্টারি বোর্ডই চূড়ান্তভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। জাতীয় স্থায়ী কমিটি এই বোর্ড হিসেবে কাজ করবে।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের মতো এক আসনে একাধিক প্রার্থীকে আর চিঠি দেওয়া হবে না। এবার প্রতিটি আসনে একক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্র আরও জানায়, এবার মনোনয়নে চমক থাকতে পারে। অনেকে যাদের নাম কল্পনাও করেননি, তারাও টিকিট পেতে পারেন। আবার অনেক পরিচিত মুখও বাদ পড়তে পারেন। তারেক রহমানের কাছে ইতোমধ্যে সব নেতার ভূমিকা ও অতীত কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বিএনপি সব সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আন্দোলন ও সংগঠনের মাধ্যমে নির্বাচনের জন্যই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার জনপ্রিয়তা, ত্যাগ ও দলীয় আনুগত্যই হবে মূল মাপকাঠি।

এদিকে দলীয় জোট ও মিত্রদের নিয়েও কৌশল করছে বিএনপি। যারা দীর্ঘ সময় ধরে রাজপথে আন্দোলনে ছিল, তাদের জন্য কিছু আসন ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মাঠপর্যায়ে এসব দলের জনপ্রিয়তা যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সবশেষে, নির্বাচন কমিশনের তফশিল ঘোষণার পর প্রার্থিতা চূড়ান্তের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। তখন মনোনয়নপত্র বিক্রি, জমা ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থী ঠিক করবে বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনগণের কাছে যিনি গ্রহণযোগ্য, সৎ ও ত্যাগী—তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন