৮ নভেম্বর ২০২৫

তুমব্রু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে ২০০ পরিবার

বান্দরবান প্রতিনিধি »

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশ কিছু ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা পার্শ্ববর্তী গ্রামে ও অনেক পরিবার দুটি স্কুলে আশ্র‍য় নিয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে তুমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গাদের দুটি সশস্ত্র সংগঠন রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অগার্নাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে দিনভর থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। এর মধ্যেই সন্ধ্যার দিকে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পর দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় ঘটেছে। এতে কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে অন্যান্য দিনের তুললায় উখিয়ার বালুখালী টিভি টাওয়ার, উখিয়ার ঘাট কাস্টমস সংলগ্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বেশি ছিল জানা গেছে।

তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা দিল হোসেন বলেন, তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার ক্যাম্পটিতে ৫৩০ ঘর ছিল। সেখানে ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করতেন। হঠাৎ একদল মুখোশধারী এসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর ছেলে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে অধিকাংশ পরিবার।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ‌‘আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আনুমানিক ২০০ রোহিঙ্গা পরিবার তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জুনিয়র হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।’ বিক্ষিপ্তভাবে কিছু পরিবার বুধবার রাতে মিয়ানমারেও চলে গেছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকাল থেকেও রোহিঙ্গাদের দুটি পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। যখন গোলাগুলি চলে, তখন স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। সীমান্ত এলাকাজুড়ে বিজিবির সদস্যরা টহল জোরদার করেছে।’

ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এ. কে. এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শূন্যরেখার পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, অধিকাংশ রোহিঙ্গার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ওই এলাকার স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ