বাংলাধারা ডেস্ক »
খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানার ভিতরে এক তরুণীকে (২১) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষিতা তরুণী নিজে আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার (৪ আগস্ট) রাতে ওই নারীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সময়স্বল্পতার কারণে পরীক্ষা হয়নি।
সোমবার (৫ আগস্ট) ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওসি ওসমান গণি ঘটনার শিকার তরুণীর পরিবারকে মোটা অংকের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।।
ওই তরুণীর ভগ্নিপতি শাহাবুদ্দিন মাতব্বর জানান, গত শুক্রবার (২ আগস্ট) তার শ্যালিকা (২১) যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। এদিন রাত সাড়ে সাতটার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহ করে ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গণি পাঠান তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর আরও চার পুলিশ কর্মকর্তা (সদস্য) তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার (৩ আগস্ট) ওই নারীকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে বিচারকের সামনে নেওয়ার পর ওই নারী জিআরপি থানায় তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরেন।
এরপর আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।
এদিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ওসি ওসমান গনি এ ঘটনা ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন।
তিনি সোমবার সকালে বলেন, শুনেছি ওই তরুণী তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাকে মহিলা এসআই এবং মহিলা কনস্টেবল ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। আর থানায় রাতে তিনজন নারী পুলিশসহ ৮জন পুলিশ পাহারায় থাকে। সেখানে তাকে ধর্ষণের কোনো সুযোগ নেই। মূলত ফেসডিলের মামলা থেকে রক্ষা পেতে সে এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলেও তার দাবি।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি/আরইউ













