৭ নভেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ‘নাইট সাফারি পার্ক’ হবে সীতাকুণ্ডে, জায়গাও চূড়ান্ত

বাংলাধারা প্রতিবেদক»

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নাইট সাফারি পার্ক হবে সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে। পার্ক ও নিরাপত্তা চেকপোস্টের জন্য ইতোমধ্যে জায়গা চূড়ান্ত করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জঙ্গল সলিমপুরে টানা অভিযান চালানো হয়। এসময় নাইট সাফারি পার্কের জন্য উদ্ধারকৃত ৫৭ দশমিক ৫০ একর জায়গার চারদিকে সীমানা বেষ্টনী নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। অভিযানে আলীনগরের প্রবেশ মুখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক জারীকৃত গণ বিজ্ঞপ্তি সংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপণ করা হয়।

এছাড়াও, জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগরে অবৈধ বসতি নির্মাণ, অবৈধ পাহাড় কাটা রোধে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপনের জন্য বায়েজিদ লিংক রোড হতে জংগল সলিমপুর প্রবেশের মুখে এবং আর জঙ্গল সলিমপুর হতে আলীনগর প্রবেশের মুখে জায়গা নির্ধারণ করা হয়।

জানা গেছে, নিরাপত্তা চৌকিসমূহে যৌথ বাহিনীর সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ব্যবস্থাপণা কমিটির জন্যও একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশের কর্মকর্তা ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অফিস কক্ষ স্থাপণ করা হবে।

অভিযান চলাকালে জঙ্গল সলিমপুরের রড, সিমেন্ট, বালুর দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, নু এমং মারমা, মিজানুর রহমান, মো. মাসুদ রানা ও অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগরে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ (শুক্রবার‌ সপ্তম দিনের মত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক গৃহীত মহাপরিকল্পনা খুব দ্রুতই বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আজকের এই অভিযান।’

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নাইট সাফারি পার্কের জন্য ৫৭ দশমিক ৫০ একর জায়গার সীমানা বেষ্টনী নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এখানে বাঘ, চিত্রা হরিণ, অজগর সাপ, কুমিরসহ নানা রকম পশু-প্রাণী অবমুক্ত করে একটি দৃষ্টি নন্দন সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহাদাত হোসেন বাংলাধারাকে বলেন, ‘সরকারের মহাপরিকল্পনার অংশীদার হিসেবে যারা কাজ করতে চায় তাদের সকলকে সাথে নিয়ে সকল প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদেরকে পূনর্বাসন করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।’

বাংলাধারা/এসকে

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ