২৪ অক্টোবর ২০২৫

দাবি না মানলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি চারুকলা শিক্ষার্থীদের

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

চারুকলা শিক্ষার্থীদের দাবি মানা না হলে এবং এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষকরা আলোচনায় না বসলে তারা ৫ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হবেন। ইতিপূর্বে প্রশাসনের আহ্বানে ক্লাসে ফিরলেও শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর বিষয়ে অসম্মতির কারণ জানতে গত ৩১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউট পরিচালককে শিক্ষক-ছাত্র দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আহ্বান জানান। শুরুতে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার কথা দিলেও পরদিন গতকাল (১ ফেব্রুয়ারি) ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় থেকেও শিক্ষকদের সাড়া না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করেন। তারা জানান অন্যত্র ব্যস্ততা থাকায় উপস্থিত হতে পারছেন না। বৈঠকে শিক্ষকদের সাড়া না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে তারা জানান, ২ ফেব্রুয়ারিও যদি শিক্ষকরা আলোচনায় অংশ না নেন তাহলে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হবেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ইব্রাহীম অপু বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ কমিশনার সবার হস্তক্ষেপের ৩ মাস (৯২ দিন) পর জানতে পারলাম আমাদের ঘরের ভেতরেই (চারুকলা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ) মূল সমস্যা। কর্তৃপক্ষই আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রথম এবং বড় বাধা। কিন্তু বরাবরই তারা তাদের বক্তব্যকে জটিলভাবে উপস্থাপন করেছেন। স্থানান্তর যদি সময়সাপেক্ষ হয়ে থাকে সেটা তো শিক্ষকদের দেখার বিষয় না, সেটা দেখবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জহির রায়হান অভি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকগণ মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে চান না একথা কোথাও তারা সরাসরি বলেননি। ৭ দিনের বেঁধে দেওয়া সময় শেষে জেলা প্রশাসক মারফত জানতে পারলাম তারা মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে চান না। আমাদের দাবি যৌক্তিক মানলেও তাদের অসম্মতির কারণ কি ? যদি আগামীকাল ( আজ ) উনারা আমাদের সাথে এসব খোলাখুলি আলোচনা করে কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছান, গত ৩ মাসের মতো এড়িয়ে যান, তাহলে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি (রোববার) থেকে আন্দোলনকারীরা আমরণ অনশনে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে অনশনের ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদ মোস্তফা, চবির প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল, চুয়েটের একজন প্রকৌশলী ও সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব চারুকলা ইনস্টিটিউটে ছুটে এলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের ইনস্টিটিউটের ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি।

সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। প্রকৌশলীসহ আগে আমরা আরো তিনবার গিয়েছি আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’

আরও পড়ুন