২৩ অক্টোবর ২০২৫

ঈদের ছুটিতেও সচল ছিল চট্টগ্রাম বন্দর

দিনে গড়ে হ্যান্ডেলিং ৬ হাজার ৬৬৯ কনটেইনার

ঈদের টানা ছুটির মাঝেও দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম বন্দর ছিল সম্পূর্ণভাবে সচল। ২৮ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালে বন্দরে গড়ে প্রতিদিন হ্যান্ডেলিং হয়েছে ৬ হাজার ৬৬৯টি কনটেইনার। তবে পর্যাপ্ত প্রাইম মুভার ও লরি সার্ভিস না থাকায় প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৩৫০টি কনটেইনার বন্দরের ইয়ার্ডে জমে গেছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এই ১০ দিনে মোট হ্যান্ডেলিং হয়েছে ৬৬ হাজার ৬৯০টি কনটেইনার (২০ ফুটের সমমানের—টিইইউ), আর ডেলিভারি হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৩৮৫টি। ঈদের দিন ৩১ মার্চেও বন্দর আংশিক চালু ছিল, সেদিন হ্যান্ডেলিং হয় ৩ হাজার ২৮৭টি কনটেইনার, ডেলিভারি মাত্র ৮০৯টি।

কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের তথ্যে, ২৮ মার্চ ৪ হাজার ৯০৪টি, ২৯ মার্চ ৭ হাজার ৬৯টি, ৩০ মার্চ ৭ হাজার ৫৩৮, ১ এপ্রিল ৮৭১, ২ এপ্রিল ৮ হাজার ১৫৭, ৩ এপ্রিল ৭ হাজার ৮৫০, ৪ এপ্রিল ৯ হাজার ৬৯৮, ৫ এপ্রিল ৯ হাজার ১৯৪ ও ৬ এপ্রিল ৮ হাজার ১২২টি কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়।

এছাড়া ২৮ মার্চ ৪ হাজার ১৮২টি, ২৯ মার্চ ২ হাজার ৯৭৬টি, ৩০ মার্চ ১ হাজার ৭৫৩, ২ এপ্রিল ৬৯১, ৩ এপ্রিল ৫৪৪, ৪ এপ্রিল ১ হাজার ১০০, ৫ এপ্রিল ১ হাজার ৩৯৭ এবং ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৯৩৩টি কনটেইনার ডেলিভারি হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত জনবল, ব্যাংক বুথ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর খোলা রাখা হলেও আমদানিকারকদের ডেলিভারির ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা গেছে। এর ফলে শুধুমাত্র ৬ এপ্রিলেই বন্দর ইয়ার্ডে জমে যায় অতিরিক্ত ১৩ হাজার ৫০০টি কনটেইনার।

বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৫৩ হাজার ৫১৮টি কনটেইনার রাখার সক্ষমতা রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা আগে থেকেই পর্যাপ্ত জায়গা খালি রেখেছিলেন, ফলে বড় কোনো সংকট দেখা দেয়নি। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ডেলিভারি বৃদ্ধি করে এই চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, “বন্দর পুরো সময় চালু ছিল, কেবল ঈদের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম স্থগিত ছিল। আমদানিকারকরা ডেলিভারি না নেওয়ায় কিছু কনটেইনার জমে গেছে, তবে কয়েকদিনের মধ্যেই তা সমাধান হবে।”

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ বলেন, “বন্দর সচল থাকলেও কাস্টমস ও আইসিডি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু ছিল না। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে বন্দর সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে একইভাবে চালু রাখা দরকার। এজন্য সরকারের নীতিনির্ধারকদের আরও আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।”

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন