খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি»
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার জামতলী বাঙালি পাড়ায় নেশাগ্রস্ত ছেলে জনির এলোপাথাড়ি ধারালো দায়ের কোপে বাবার নির্মম মৃত্যু। প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাবা ছেলের মধ্যে ঝগড়া হতো বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ৩ টায় উপজেলার জামতলী বাঙালি পাড়ায় নেশাগ্রস্ত ছেলের এলোপাথাড়ি ধারালো দায়ের কোপে বাবার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যাক্তির নাম মোঃ মিন্টু আলী (৫২), তিনি উপজেলার জামতলী বাঙালি পাড়ার মোঃ মোবারক মিয়ার ছেলে। শুক্রবার দুপুর ৩ টায় তাকে এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে হত্যা করা হয় বলে জানান, মিন্টু আলীর বাবা মোবারক মিয়া। নিহত মিন্টু আলীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নিহতের বড় মেয়ে মিনারা জানান, আমি বাবার রুমের পাশের রুমে শুয়ে ছিলাম হঠাৎ বাবার রুমে একটি শব্দ শুনতে পাই। বাবার রুমে গিয়ে দেখি বাবা মাটিতে শুয়ে আছে, এদিকে আমার মা আমাকে ডাকতে আসলে এসে দেখেন আমি কিছুই কথা বলতে পারছি না। মা, বাবার মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখে হঠাৎ দেখেন মাটিতে রক্ত ভেসে উঠেছে। একপর্যায়ে মা অচেতন হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে আমি ঘরের বাহির হয়ে মানুষজন ডাকতে থাকি। তারপর আর কিছুই বলতে পারিনাই।‘
দীঘিনালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তবরত মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মোঃ আবির জানান, মোঃ মিন্টু আলীকে তার বাবা মোবারক মিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মিন্টুর মৃত্যু হয়েছে।
দীঘিনালা থানার উপ-পরিদর্শক শেখ মিল্টন রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহত মিন্টু আলীর শরীরে তিনটি দায়ের কোপ রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, ছেলেকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













