২৮ অক্টোবর ২০২৫

দীর্ঘদিন পর প্রিয় বিদ্যাপীঠে আনন্দচিত্তে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন শিক্ষকরা

হাটহাজারী প্রতিনিধি»

করোনার প্রাদূর্ভাব থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত রাখতে গত দেড়টি বছর বন্ধ ছিল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় দেড় বছর  পর রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) খুললো সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সারাদেশের ন্যায়ে হাটহাজারীতেও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা গেলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে  ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান চলছে।

অনেক দিন পর বন্ধুদের দেখা পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী আবেগে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে। মেতে ওঠে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শিক্ষক-কর্মচারীরাও শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন আনন্দচিত্তে। আর সন্তানেরা শ্রেণিকক্ষে ফেরায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন অভিভাবকেরা। তবে করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কিছুটা উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী তার অভিবাবক।

মহামারির সময় স্কুল খোলা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে অভিভাবক মোঃ আলমগীর জানান,আমার ছেলে পঞ্ম শ্রেণীতে পড়ে কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করার পর মন্তব্য করব। তবে এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ঠিকই আছে।’

এদিকে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ দেড় বছর বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর মেখল ফকিরহাট স.প্রা.বি এর শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ ও হাত ধোঁয়ানোর পর তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিদ্যালয় খোলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ছিলেন খুবই প্রাণবন্ত ও উৎসুক।প্রথম দিনেই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শিক্ষার্থীর মধ্যে শতকরা উপস্থিতি ছিল  ৮০ জন ।

অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মোঃ নুরুল আবছার বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর পর আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের পেয়ে আমি খুবেই খুশি।গত শনিবার আমাদের ইউএনও মহোদয় আমাদের বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে সন্তোষ প্রকাশ। সরকারী ১০টি নির্দেশনা মেনে আমরা পাঠদান সম্পূর্ন করেছি। 

এ ব্যাপারে উপজেলার সহঃশিক্ষা অফিসার বলেন, বিদ্যালয় খোলার পূর্বে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারসহ পরিদর্শনে করি।উপজেলা বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রতিটি  বিদ্যালয় খোলার পূর্বপ্রস্তুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আমরা  শিক্ষক শিক্ষিকাদের সরকারী দিক নির্দেশনা মেনে পাঠদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি এবং সে  নির্দেশনা মেনে তারা পাঠদান সম্পূর্ন করে। ১ম দিনে শিক্ষার্থীর উপস্থিত সন্তোষজনক।

বাংলাধারা/এফএস/এফএস

আরও পড়ুন