দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর মোড় থেকে চট্টগ্রাম-হাটহাজারীর সংযোগ সড়কটি। প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের সংযোগ সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ জনগণ। এমনকি রাস্তা পারাপার হতেও পড়তে হয় চরম বিপাকে।
চট্টগ্রাম-হাটহাজারী রোডে মুরাদপুরের সংযোগ স্থলে কালভার্ট নির্মাণের পাশাপাশি ওয়াসা সিডিএসহ বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের ধীরগতির মাশুল গুনছে নগরবাসী। যান চলাচলে বিঘ্ন হওয়ায় দুই পাশের বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী ধুলোবালিতে নাকাল। কুরবানী ঈদের আগেই সড়কটি পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত না করা গেলে বাড়তে পারে দুর্ভোগের মাত্রা।
হাফিজ মিয়া নামের একজন বাস চালক বলেন, আগে এই রাস্তা দিয়ে খুব সহজেই অক্সিজেন হয়ে হাটহাজারী যাওয়া যেত। তেল ও সময় দুটোই কম লাগতো। তবে দীর্ঘদিন রাস্তা বন্ধ থাকায় দুই নম্বর গেট দিয়ে ঘুরে অক্সিজেন ও হাটহাজারী যেতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের সময়ের পাশাপাশি অনেক বেশি তেল খরচ হচ্ছে।
শফিক নামের একজন পথচারী বলেন, আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য অনেক টাকা কর দেই। সরকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে জনগণের সুবিধার জন্য। তবে ওয়াসা সিডিএর গড়িমশিতে ভোগান্তি আরও বাড়ছে বলে জানান তিনি।
অন্য একজন পথচারী বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় এলাকার ব্যবসায়িরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি বলেন সামনেই একটা গরুর হাট রয়েছে। রাস্তাটি যদি দ্রুত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা না হয় তবে এবারের কুরবানী ঈদে গরুর ব্যাপারীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী বলেন, জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে সকল কার্যক্রম শেষ। তবে ওয়াসার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আর এ কারণেই কালভার্টটি এখনো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ওয়াসার পাইপ লাইনের কাজ শেষ হলেই আমি যত দ্রত সম্ভব জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি খুলে দিব।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ওই রাস্তার মাঝামাঝি ওয়াসার একটি পাইপ লাইন আছে। আমরা দ্রুত পরিসরে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। দ্রুত পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ শেষ করে সড়কটির একপাশ চালু করা হবে জনসাধারণের জন্য। তবে কুরবানী ঈদের আগেই পাইপ লাইনের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে রাস্তাটি পুরোপুরি সর্বসাধারনের জন্য চালু করার পরিকল্পনা করছি।