হাসান সৈকত »
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে রোগী ও অভিভাবকদের পারাপারের সুবিধার্থে প্রায় দুই বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল অত্যাধুনিক এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজটি। কিন্তু উদ্বোধনের পর বছর পেরুবার আগেই অকেজো হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ফুটওভার ব্রিজটি।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজটি উদ্বোধন করেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরন এবং ৯, ১০ ও ১৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর আদিবা আজাদ।
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোগীর অভিভাবক বাংলাধারাকে বলেন, অহেতুক টাকাগুলো খরচ করে ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। রোগী কিংবা অভিভাবক কেউ এটি ব্যবহার করে রাস্তা পারাপারের প্রয়োজন হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডায়াবেটিস হাসপাতালের একজন কর্মচারী বলেন, এই হাসপাতালে চাকরি নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ফুটওভার ব্রিজটি চালু হতে দেখিনি।
১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ওয়ারলেস মোড় এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ মাকসুদ উদ্দিন বলেন, ফুটওভার ব্রিজটি হাসপাতালের সামনে না হয়ে যদি ওয়ারলেস মোড়ের আশপাশে তৈরি করা হতো তালে ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৬ হাজার মানুষ স্বাচ্ছন্দে রাস্তা পারাপার করতে পারতো।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া এই ওয়ার্ডে রয়েছে ২টি প্রাইমারি স্কুল, ১টি হাই স্কুল, ১টি কলেজ ও ২টি বিশ্ববিদ্যালয়। স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৩ হাজার। ওয়ারলেস মোড়ে একটি ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রায় সময় পড়তে হয় নানা ধরনের বাড়তি ঝামেলায়।
পাহাড়তলী কলেজের শিক্ষার্থী আহমেদ সাকিব বলেন, এই এলাকায় রাস্তাঘাট তুলনামূলক অনেকটাই ছোট, তবে যানবাহনের সংখ্যা প্রচুর। আর দিনের অনেকটা সময় এই রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। এতে করে রাস্তা পার হতে গিয়ে আমরা অনেক শঙ্কিত থাকি।
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ওয়ারলেস মোড় এলাকায় একটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হলে এখানকার বাসিন্দা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি উপকৃত হবে।
বাংলাধারা/এআই