কর্ণফুলী প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার আলোচিত ডাবল হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে এসে ‘দু’জনকে মেরে ফেলেছি, প্রয়োজন হলে আরও তিনজনকে মেরে ফেলবো’— এমন হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। এ অবস্থায় নিহতের স্বজনরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলেও অভিযোগ করেন।
শুক্রবার (৫ মে) জুমার নামাজের পর ডাবল মার্ডার মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড হাজী ওমরা মিয়া চৌধুরী জামে মসজিদ এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন স্থানীয়রা।
এতে মসজিদে আগত মুসল্লিরা মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বলেন, সামান্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডাবল মার্ডারের মত একটা ঘটনা ঘটেছে, এতে শিকলবাহা ইউনিয়নের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই, এতে আমরা শিকলবাহা ইউপির জনসাধারণ হিসেবে লজ্জিত এবং সামনে যেন এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমাদের সুশীল সমাজকে গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, খুনিরা রাতের আধারে এসে নিহতের স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছে। নিহতের স্বজনরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। আমরা সরকারের প্রতি আবেদন জানাই, সরকার যেন নিহতের স্বজনদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করে এবং মামলায় এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হোক।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন লুৎফর রহমান, আনিসুর রহমান, আব্দুর রহমান, নুরুল আক্তার, জানে আলম ইমন এবং নিহত হোসনে আরা বেগমের (বড় ছেলে) জাফর আহমদ, নিহতের (স্বামী) তৈয়ব আলী, সালমা খাতুন, কামরুন নাহার সহ এলাকার কয়েক‘শ মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ঘটনার দুইদিন পর খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় মানববন্ধন করেছিলেন এলাকাবাসীরা।
প্রসঙ্গ, গত ২৫ এপ্রিল শিকলবাহা ইউনিয়নের ব্লকপাড় ইসমত হাজীর বাড়িতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে মা হোসনেরা বেগম (৪৫) ও ছেলে মো. পারভেজকে (২৫) কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ মো. আলীর পরিবার।
এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল নিহত হোসনেরা বেগমের বড় ছেলে জাফর আহমদ (৩২) বাদী হয়ে মো. মহসীনকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেছেন।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, নির্মম এ খুনের ঘটনায় ঘটনার মূলহোতাসহ এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।












