২৮ অক্টোবর ২০২৫

দূর্গাপূজা উদযাপনে প্রস্তুত বাঁশখালীর বাণীগ্রাম

শরতের নীল আকাশ আর সাদা কাশফুলের শুভ্রতা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ৬ষ্ঠী পুজার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। সুদীর্ঘ ৫৬ বছরের বর্ণিল ইতিহাস নিয়ে বাঁশখালীতে এবারো দুর্গাপূজা উদযাপনে প্রস্তুত বাণীগ্রাম সার্বজনীন শারদীয়া দুর্গোৎসব আয়োজক কমিটি। ৬ষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী মাঙ্গলিক ও সেবামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে এবারের অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে তারা।

বাঁশখালীর প্রধান সড়কের পাশে বাণীগ্রাম শ্রীশ্রী জগন্নাথ ধামের এ সার্বজনীন পূজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য গ্রামবাসীর নামে সংকল্প করে সম্পূর্ণ সাত্ত্বিক উপায়ে মায়ের আরাধনা করা। এছাড়াও চট্টগ্রামের স্বনামধন্য মৃৎশিল্পী অমল পালের হাতের ছোঁয়ায় গড়ে ওঠা দীর্ঘ ১৬ ফুট উচ্চতার দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা বাণীগ্রামের দুর্গোৎসবের প্রধান আকর্ষণ।

দুর্গোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু ঋত্বিক চৌধুরী বলেন, অসহায় হত দরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান, গীতাপাঠ প্রতিযোগিতা, শারদ সন্মাননা প্রদান, চন্ডী যজ্ঞ, প্রতিমা প্রদর্শনী এবং মহাপ্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজনে মায়ের এ আরাধনা চলবে। এছাড়াও বিজয়া পূনর্মিলনীর মঞ্চে গান গাইবেন টিভি চ্যানেলের প্রিয়মুখ জনন্দিত কন্ঠ শিল্পী অনন্যা আচার্য।

কমিটির প্রচার সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, এ প্রতিমা বাঁশখালীতে সবচাইতে বড়। এ ঐতিহ্যবাহী পূজাকে কেন্দ্র করে আশেপাশের এলাকাজুড়ে মেলা বসে। সাত্বিক এ পূজার মহিমা বাঁশখালী ছাপিয়ে পুরো চট্টগ্রামব্যাপী ছড়িয়ে আছে। যার কারণে অনেক দূরদুরান্ত থেকে এ পূজায় দর্শনার্থীর ঢল নামে।

পূজা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী চৌধুরী বলেন, ৫৬ বছর আগে গ্রামবাসী মায়ের চরণতলে যে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়েছিল প্রজন্মের হাত ধরে সে দীপশিখা এখনো জ্বলছে দুর্গা মায়ের অপার মহিমায়।

আরও পড়ুন