কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে শনিবার (২৩ নভেম্বর) আরো এক দফায় শতাধিক জলদস্যু আত্মসমর্পণ করছেন। এবারে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার উপকুলীয় উপজেলার বেশ কিছু সংখ্যক অস্ত্র কারিগর এবং সন্ত্রাসীরাও আত্মসমর্পণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। মহেশখালীর ক্রাইমজোন বলে খ্যাত কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আত্মসমর্পণের এ আয়োজন চলছে।
আত্মসমর্পণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি প্রধান অতিথি থাকছেন। বিশেষ অতিথি হয়ে আসছেন পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এবং জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, দ্বিতীয় আত্মসমর্পণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে দস্যু জীবন থেকে আলোর পথে ফেরার সম্মতি জানিয়েছেন শতাধিক জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগররা।
এসপি আরো জানান, আত্মসমর্পণকারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রণোদনাসহ সব ধরণের সহযোগিতা দেয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে মহেশখালী দ্বীপের দুর্ধর্ষ ৭ টি দস্যু বাহিনীর প্রধানসহ তাদের সহযোগিরা পুলিশের সেফহোমে চলে এসেছেন। সেফহোমে আসা দস্যুদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সচেতন মহলের ধারণা, দস্যুদের কারণে যুগ যুগ ধরে মহেশখালী-কুতুবদিয়াসহ পুরো উপকূলীয় এলাকায় অশান্তি লেগে থাকত। গভীর সাগরে মাছ ধরা নৌকা গুলোর অগণিত সংখ্যক জেলে প্রাণ হারিয়েছে এসব দস্যুদের হাতে। আকরাম হোসেন নামে জনৈক গণমাধ্যমকর্মীর মাধ্যমে এসব দস্যুদের আত্মসমর্পণে সম্মত করা হয়। এসপি মাসুদ হোসেন ও কালারমারছরা ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বওন শরীফের নেতৃত্বে শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা একাধিকবার আত্মসমর্পণ স্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর র্যাবের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণের পর থেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় অনেক শীর্ষ জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর। এ কারণে দ্বীপের পাহাড় ও সাগর উপকূলে অভিযান জোরদার করে পুলিশ। অভিযানের মুখে আবারো আত্মসমর্পণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার এসব জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর এমনটি দাবি শৃংখলাবাহিনীর।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













