৪ নভেম্বর ২০২৫

‘দ্যা বাস্কেট’র সে কর্মী সুস্থ, ক্রেতার নিরাপত্তায় ৩ স্তরের সুরক্ষা

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

চট্টগ্রামে গত ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের দুদিন পর ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনা ধরা পড়ে। সে বাস্কেটের টয়লেট্রিজ বিভাগের কর্মী ছিল। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানা গেছে। দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় বুধবার তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নেই বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ক্রেতাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ৩ স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে নগরীর অভিজাত খুলশি এলাকার চেইন শপ দ্যা বাস্কেট।

তিনস্তরের জীবাণুমুক্ত কার্যক্রমে প্রথমে পার্কিং জোনে ছিটানো হয় জীবাণুনাশক মিশ্রন। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধান ফটকে থার্মাল স্ক্যানের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ, প্রত্যেককে আলাদাভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে ক্রেতারা ভেতরে ঢুকে পাবেন জীবাণুমুক্ত আলাদা ট্রলি। প্রয়োজনমত গ্লাভসও সরবরাহ করা হচ্ছে।  ক্রেতাদের বিদায়ের পর প্রতিটি ট্রলিই জীবাণুমুক্ত করে নির্দিষ্ট বিরতির পর আবার নতুন ক্রেতার কাছে দেওয়া হয়।

এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের আলাদা আলাদা স্যানিটাইজের পাশাপাশি বিপনীকেন্দ্রের প্রায় ১০ হাজার ফুট মেঝে চলছে ‘রাউন্ড দ্য ক্লক‘ জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্নতার কাজ।

দ্যা বাস্কেটের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় ১০ হাজার বর্গফুটের ফ্লোরে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার কাজে কর্মীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। করোনা সংক্রমন শুরুর পর মার্চের শুরু থেকে আামরা হ্যান্ড সেনিটাইজারের মাধ্যমে ক্রেতাদের ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা করেছিলাম। বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতা আরো বাড়ানো হয়েছে। ভেতরে শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে।  

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হোসেন বলেন, কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টিও আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। প্রত্যেকের জন্য পিপিই ছাড়া গ্লাভস, ক্যাপ সরবরাহ করা হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন