বাংলাধারা প্রতিবেদন »
সংসদ সদস্য ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র স্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহান আরা আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে শৈশব স্মৃতিচারণ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
রোববার দিবাগত রাতে উপমন্ত্রী তাঁর ফেসবুক পেইজে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে এই শৈশব স্মৃতিচারণ করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘আমার বাবার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সুপরিচিত কয়েকজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যার সাথে বন্ধুত্ব ছিলো, তিনি ছিলেন শহিদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের সন্তান বরিশালের রাজনীতির শার্দূল জননেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দুই বন্ধুর কথায় তাদেরকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন পার্বত্য শান্তি চুক্তির জন্য। আর তারা সে কাজটি বেশ ভালোভাবেই তখন করেন।
শাহান আরা আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে উপমন্ত্রী লিখেন, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহ পরিবারের সবার সাথেই আমাদের পারিবারিক বন্ধন, আর এই বিশেষ বন্ধনের সব কিছুতেই ছিলো একজনের বিশেষ প্রভাব, প্রিয় হাসনাত চাচী, শাহানারা আব্দুল্লাহ। তিনি আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। প্রিয় চাচীর ইন্তেকালে তার স্মৃতির প্রতি জানাই শ্রদ্ধা, তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

শৈশবের স্মৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘আমার ছোটবেলায় তার সাথে অনেক স্মৃতি। চট্টগ্রামে আসলেই আমাদের বাসায় আসতেন।’
স্ট্যাটাসে ছবি দিয়েও স্মৃতিচারণ করেন তিনি লিখেন, ‘ছবিতে ছোট্ট বেলার একটি স্মৃতি।
‘শাহানারা চাচি ও হাসনাত পরিবারের সাথে, গিয়েছিলাম কক্সবাজার। তখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি খুব কঠিন ছিলো, আমাদের সামাজিকতা, আনন্দ-বিনোদন, সবই দলের পোড় খাওয়া মানুষগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। কক্সবাজারে গিয়ে উঠেছিলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আংকেলের আগে থেকে ঠিক করে রাখা হোটেল সায়মানে, তার সৌজন্যে। আবার সবাই আসার পথে গিয়েছিলাম সেখান থেকে বাশখালীতে আমার বাবার আরেক বন্ধু সুলতানুল কবির চৌধুরী আংকেলের বাড়িতে। সুলতানুল কবির, হাসনাত আবদুল্লাহ, মহিউদ্দিন চৌধুরী, একই প্রকৃতির তিন দুঃসাহসী বন্ধু ছিলেন।’
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহান আরা আব্দুল্লাহ রোববার রাতে মারা যান।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদালয়ে তিনি মারা যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনীতির বাইরেও তিনি একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল কালরাতের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। শাহান আরার ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













