বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বাস ধর্মঘটের কারণে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে । বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও টেম্পু অটোরিকসাসহ অন্যান্য গণ পরিবহণ চলছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার চলাচল না করায় চাকুরীজীবী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
জানা যায়, রোববার (২০ অক্টোবর) বাস মালিক মো. মনির হোসেনকে ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ বাস চালানোর অপরাধে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে। যার কারণে সোমবার (২১ অক্টোবর) মালিকদের নির্দেশে সকাল থেকে বাস নামানো হয়নি বলে জানা যায়।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এ ধর্মঘটের ফলে দুই নাম্বার গেইট, জিইসি মোড়, টাইগার পাস, আগ্রাবাদ, স্টেশন রোড, নিউ মার্কেট, আন্দরকিল্লা, এনায়েত বাজার, ওয়াসার মোড় ও কাজীর দেউড়িতে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায় বাসের জন্য।
ধর্মঘট বিষয়ে মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন জানান, ধর্মঘটের বিষয়ে সাংগঠনিক কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে গতকাল (রোববার) বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেট একটি বাসকে ইউটার্ন করার কারণে জরিমানা করা হয়েছে। তাই সব ধরনের পরিবহন মালিকরাই ভয়ে গাড়ি নামাচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেট মনজুরুল হক রোববার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাটে একটি শহর এলাকার বাসকে ফিটনেস না থাকায় এবং ১০ নম্বর রুটের বাসটি যথাযথ গন্তব্যে না গিয়ে চান্দগাঁও থানার সামনে ঘুরিয়ে দেওয়ায় বাসের মালিক মনির হোসেনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। বাসটির চালক শামীম উদ্দিন ও হেলপার মোহাম্মদ আলমগীরকে একমাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাধারা/এফএস/এএ













