৫ নভেম্বর ২০২৫

নগরীতে মাটির নিচে যাচ্ছে বিদ্যুৎ লাইন

বাংলাধারা ডেস্ক »

চট্টগ্রাম ও সিলেটের সব বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচে নেওয়া হবে। এ জন্য ৩ হাজার ৪১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দু’টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ দু’টিসহ একনেক সভায় ৭ হাজার ৭৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থ (জিওবি) ৬ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮৯ কোটি টাকা ও প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

এই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম শহরের পাশাপাশি আনোয়ারা, পটিয়া, হাটহাজারী অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে বলে পিডিবি সূত্রে জানা গেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে পিডিবির বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলোতে তারের জঞ্জাল। এতে করে বিঘ্নিত হচ্ছে বিতরণ ব্যবস্থা। খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এবার এই জঞ্জাল থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে নগরবাসী। এই তারগুলো যাবে মাটির নিচে। এর ফলে ভারী বৃষ্টিপাতের সময়ও বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার ভেলকিবাজি বন্ধ হবে। ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডালপালা পড়ে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনে বিঘ্ন ঘটবে না বলে জানান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চল সূত্র জানায়, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি তাদের ১৩২ কেভি ও ২৩০ কেভি লাইন এবং পিডিবির অধীনে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইন আধুনিকায়নের কাজ চলছে। তারপরও ভারী বর্ষণ ও প্রবল ঝড়ের সময় গাছের ডালপালার আঘাত, এমনকি ছোটখাটো পাখির ঝাপটায়ও ট্রিপ করছে (গ্রিড স্টেশনের সার্কিট পড়ে যাওয়া) গ্রিডলাইন। বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে যায়। এতে অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। এর থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণের জন্য এবং আধুনিক বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের বিদ্যুতের লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ