চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-১৯’। সামাজিক সংগঠন চিটাগাং ইয়ুথ ফোরামের আয়োজনে এই টুর্নামেন্টে নগরীর বিভিন্ন এলাকার ২২টি দল এ টুর্নমেন্টে অংশ নিয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে নগরীর খুলশী থানার বায়তুল আমান এলাকায় এ খেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়৷
আয়োজক সংগঠনের সদস্য পার্থ প্রতীম বড়ুয়ার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন তরুণ সমাজ সেবক ফয়সাল আমিন ও তয়াসিফ আল মাহমুদ এবং সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরী। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সনেট দে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছিলেন বাঙালি জাতির জন্য। ১৯৭৫ সালের ঘাতকরা এই মহান নেতাসহ পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু এরপরও জাতির জনকের আদর্শকে কেউ মুছতে পারেনি৷ এর প্রমাণ বঙ্গবন্ধুর নামে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সম্পর্কে, ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে সবাইকে। যে জাতি ইতিহাস ভুলে যায়, সে জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক শাহাদাত বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৮ কোটি তরুণ রয়েছে। অর্থাৎ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। এই তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। বর্তমান সরকারও তরুণ প্রজন্মকে প্রধান্য দিচ্ছে। এই প্রজন্মকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে। এসময় তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানার আহবান জানিয়ে সংগঠনটিকে উপহার স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বই দুইটি প্রদান করেন তিনি।
উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখী হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা স্পোর্টিং ক্লাব ও রেসকোর্স। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের আগে প্রথম ম্যাচে অংশ নেওয়া দুই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অতিথিরা। পরে খোলা আকাশে শান্তির প্রতীক পায়রা উন্মুক্ত করে এবং ফুটবল শর্ট করে খেলার উদ্বোধন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চিটাগাং ইয়ুথ ফোরামের সদস্য জাহিদুল ইসলাম, সুমন চৌধুরী, নাজির আহমেদ, রাজু আহমেদ, বিপ্লব হোসেন, ঈমান এইচ রাসেল, আল আমিন, মোহাম্মদ আসিফ, শরীফুল ইসলাম, ইনতিসার তানজিল প্রমুখ।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ
				












