বাংলাধারা প্রতিবেদক»
চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরে নতুন বছরের প্রথম মাসে রের্কড সংখ্যক কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। আমদানি রপ্তানি মিলিয়ে রের্কড সংখ্যক কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছে জানুয়ারীতে। চলতি বছর জানুযারী মাসে ২ লাখ ৯২ হাজার কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছে বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য মতে, ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতি মাসে গড়ে ২ লাখ ৬৮ হাজার টিইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারীতে সে সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯২ হাজারে। ২০২১ সালের জানুয়ারীর মাসে কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার একক।সে বছর অক্টোবর মাসে সর্বোচ্চ কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছিলো যার সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ৯৫ হাজার।
এছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩২ লাখ ১৪ হাজার একক কন্টেইনার উঠানামা হয়েছিলো চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।তবে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এ করোনার কারণে সবচেয়ে বড়সড় ধাক্কা লেগেছিলো ২০২০ সালে। সে বছর ২৮ লাখ ৩৯ হাজার একক কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছিলো। ২০১৯ সালে দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দর ৩০ লাখ ৮৫ হাজার একক কন্টেইনার ওঠানামা করতে সক্ষম হয়েছিলো।২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছিলো ১৩ শতাংশ। তবে ২০১৯ এর তুলনায় ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছিলো মাত্র ৪ শতাংশ।
২০২২ সালের জানুয়ারীতে তুলনামূলক বেশী কন্টেইনার হওয়ায় এই বছর কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশী ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন,কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং সচল রাখার জন্য সবসময় চট্টগ্রাম বন্দর সক্রিয়।কন্টেইনার জট যাতে না বাধেঁ সেজন্য সজাগ থাকে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজন অনুযায়ী বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয় চিঠি।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের শুধু জানুয়ারীতে রের্কড সংখ্যক কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে চট্টগ্রামে। দুই লাখ ৯২ হাজার একক কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছে জানুয়ারী মাসে।













