২৪ অক্টোবর ২০২৫

নতুন মহাকাশ স্টেশনে প্রথম ৩ নভোচারী পাঠাল চীন

বাংলাধারা ডেস্ক  »

মহাকাশে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে ইতিহাস সৃষ্টি করে পৃথিবীর কক্ষপথে নিজেদের নতুন মহাকাশ স্টেশন তিয়াংগং-এ প্রথমবারের মতো তিন নভোচারী পাঠালো চীন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গোবি মরুভূমির জিকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২২ মিনিটে শেনঝু-১২ ক্যাপসুল নিয়ে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে লং মার্চ টুএফ রকেট।

তিন নভোচারীর নাম—নিয়ে হাইশেঙ, লিউ বোমিং ও তাং হংবো। যাত্রা শুরুর আগে চীনা নভোচারীদের মহাকাশ গবেষণা কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা ও শিশুরা শুভেচ্ছা ও বিদায় জানায়।

অভিযানের উদ্দেশ্য

মহাকাশ অভিযানে তিন নভোচারী চীনের প্রথম স্পেস সেন্টার (মহাকাশ কেন্দ্র) তিয়ানহে-তে তিন মাসের জন্য অবস্থান করবেন। এ সময়ে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, মেরামত কাজসহ মহাকাশ কেন্দ্রটিকে আরও দুটি মডিউল যোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবেন।

মহাকাশে চীনের নিজেদের মহাকাশ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা এখন আর কারও অজানা নয়। সেই মহাকাশ কেন্দ্র তৈরির কাজ এগোতেই এই অভিযান। মহাকাশ কেন্দ্র তৈরির কাজে এর আগে দুবার মনুষ্যহীন রকেট পাঠিয়েছে চীন।

এরই মধ্যে চীনের মহাকাশ কেন্দ্রের প্রাথমিক একটি কোর মডিউল নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে। এবারের মহাকাশযানটি গিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হবে। এরপরই সেই কোর মডিউলে মোট তিন মাস কাটাবেন তিন মহাকাশচারী।

চীনের স্পেস স্টেশনের এই কোর মডিউলের নাম ‘তিয়ানহে’। এবারেরটি মহাকাশ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনায় চীনের তৃতীয় মহাকাশ অভিযান। আরও মোট আটটি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে চীনের।

যুক্তরাষ্ট্রের নানামুখী বিরোধিতার পরও চীন তার মহাকাশ গবেষণায় সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু সমালোচনা থাকলেও এরই মধ্যে বেশ সফলতা লাভ করেছে দেশটি। চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা, মঙ্গল গ্রহে সফল রোবট প্রেরণ ইত্যাদি চীনের সফলতার নমুনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন