জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »
নরমাল ডেলিভারীতে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করা হয়েছে দাবী করে গেল ২৫ জুলাই কক্সবাজার শহরের জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দেন জনৈক আশরাফ ইলাহী। বিষয়টি নিয়ে ১১ আগষ্ট উভয়পক্ষকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে শুনানীর জন্য ডাকা হয়। কিন্তু সেদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সময় চান।
অবশেষে শনিবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় সেই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেনারেল হাসপাতালের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসাইন।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এডি ইমরান হোসাইন বলেন, কোন প্রকার সেবার মূল্য উল্লেখ না করেই জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারীর কাছ থেকে সেবার মূল্য গ্রহণ এবং রোগীর নরমাল ডেলিভারি হলেও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সার্জন টিম চার্জ বাবদ ১২ হাজার টাকা আদায় করা ভোক্তা-অধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই কারণে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা থেকে অভিযোগকারীকে ৮ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শনিবার বিকেলে আমরা আরো ৩টি দোকান থেকে জরিমানা আদায় করেছি।
এগুলোর মাঝে শহরের খুরুশকুল রোড়ের আল মদিনা কৃষি বিতানকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে ইউরিয়া সার বিক্রয় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক রাখার কারণে ৩ হাজার টাকা ,সৌক সুপার সপকে মোড়কের গায়ে পন্যের মেয়াদ আর খুচরা মূল্য না থাকায় ৩ হাজার টাকা এবং খুরুশকুলের মাম্মী এন্টারপ্রাইজকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে গ্যাস বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসাইন বলেন, আমাদের সাধারণ মানুষ জানিই না তারা কোথাও ঠকলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া যায়। আসলে আমরা মনে করি, ব্যবসায়ীরা যখন যেভাবে দাম বলবে আমাদের সেই দামে মাল ও সেবা ক্রয় করতে হবে। এটা প্রতিকার নেই! কিন্তু বাস্তবতা হলো কোথাও ঠকানো হলে, সেই বিষয়টি প্রমাণ করতে পারলে ‘জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’-এ অভিযোগ করে প্রতিকার পাওয়া যায়। ক্রেতা হিসেবে সবাইকে সচেতন হবার অনুরোধ জানান তিনি।
